সিংড়া প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়া উপজেলার মহেশচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের মাটি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। সিংড়া পৌরসভার ১০নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল আওয়াল রিংকু ট্যাক্টর দিয়ে বাড়ি বাড়ি মাটি বিক্রয় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে স্কুলের অবিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ রিবাজ করছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার মহেশচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪তলা ভবন নির্মাণের লক্ষে পুরাতন টিনসেড ঘর প্রকাশ্যে নিলাম ডাকে বিক্রয় করা হয়। নিলামে সর্বোচ্চ ডাকদাতা হিসেবে মহেশচন্দ্রপুর গ্রামের ফরিদ আলীর ছেলে জসিম আলী টিনসেড ঘর ও পুরাতন ইট কিনে নেন।
কিন্তু গত ২২ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরাতন ভবনের নিচের মাটি ট্যাক্টর যোগে বাড়ি বাড়ি বিক্রয় করা হচ্ছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ওয়াজেদ আলী ওরফে ওয়াদুদ বলেন, পৌর কাউন্সিলর আব্দুল আওয়াল রিংকু প্রতি গাড়ী মাটি ১২’শ টাকায় বিক্রয় করছেন। এতে স্কুলের চরম ক্ষতি হচ্ছে। কোন নিষেধ শুনছেন না সে।
স্কুলের শিক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, স্কুলটি নিচু হওয়ায় প্রতি বছরই বন্যা কবলিত হয়। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রায় দুইমাস লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সেখান থেকে যদি গর্তে করে মাটি বিক্রয় করা হয় প্রতিষ্ঠানটি বন্যা কবলিত থাকবে বলে জানান তিনি।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আরিফ কামাল বাবু বলেন, তার অজান্তে সেখান থেকে কয়েক গাড়ী মাটি বিক্রয় হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সকলেই বসেছেন। কিছুক্ষণ পরে মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা অফিসে বসে একটি সমঝোতা হয়েছে। ১০গাড়ী মাটি কাউন্সিলর আব্দুল আওয়াল রিংকু ফেরত দিবেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, নিলামে পুরাতন ভবনের টিন ও ইট বিক্রয় হয়েছে। কিন্তু এখন এখন সেখান থেকে ভবনের মাটিও অপসারণ করা হচ্ছে। যেটা সরকারি স্বার্থের পরিপস্থী। এবিষয়ে তিনি শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলর আব্দুল আওয়াল রিংকু বলেন,তিনি মাটি বিক্রয় করেননি। বরং সেখান থেকে ৬গাড়ী মাটি কিনেছেন। তার মান ক্ষুন্ন করতে প্রতিপক্ষরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
সিংড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (দায়িতপ্রাপ্ত) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সরোজমিনে একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। পরে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।