নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামের মৃত ইউসুব মন্ডলের ছেলে মোতালেব হোসেন মতলেব (৪৫) চিকিৎসকের পুকুর দখল ও মারপিট মামলায় আটক হয়েছে। সে উপজেলার চামারী ইউনিয়ন এর ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। চলতি বছরের ৬ ফেব্রæয়ারি নিজের জমিজমা পরিদর্শনে গিয়ে মতলেবের হামলার শিকার হয়েছেন চিকিৎসক মিনহাজুল মিনু। এই চিকিৎসক গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। পরে তার ছেলে শাহরিয়ার মিনু ৬ফেব্রুয়ারি রাতেই সিংড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাকে ১২টার দিকে আটক হয়।
স্থানীয়রা জানান, মতলেব এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু। নদী দখল, ট্রাক ডাকাতি, গরু চুরিসহ র্যাবের হাত থেকে আসামি ছিনতাইয়ের সাথেও জড়িত ছিলেন তিনি। তার ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে পারেন না। এছাড়া মাছ চাষের আড়ালে তিনি এলাকার বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত।
চিকিৎসক মিনহাজুল মিনু অভিযোগ করেন, সিংড়ার বিলদহরের গুটিয়া গ্রামে তাদের বাড়ি। গ্রামের বাড়িতে রাখালের কাজ করতেন মতলেব। চাকরি শুরুর পর দীর্ঘদিন আগে গুরুদাসপুরে এসেছেন তারা। প্রায় ৯ বছর আগে ৫০ শতাংশের একটি মেহগণি বাগান সংলগ্ন সাড়ে ৩ বিঘা ধানী জমি চাষাবাদের জন্য মতলেবকে লিজ দিয়েছিলেন। বছর পাঁচেক আগে তার অজান্তে মতলেব ধানী জমিটি কেটে পুকুর তৈরি করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ধানী জমিটি পুকুর হওয়ার পর সাড়ে তিনবিঘা জলকরের পুকুরটি ৬০হাজার টাকা বছর ভিত্তিকভাবে ৩ বছরের চুক্তিতে লিজ দিয়েছেন মতলেবের কাছে। কিন্তু লিজের সময় পেরিয়ে গেলেও মতলেব পুকুরটি না ছেড়ে সময় ক্ষেপন করছেন। উপরন্ত পুকুরের পাশের বাগান সংলগ্ন ভিটাতে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। এছাড়া পুকুরের পাশে আব্দুল কুদ্দুসের একটি পুকুরের পাড়ও কেটে দুই পুকুরের জলকর এক করে ফেলেছেন। এসব বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি মতলেবের হামলার শিকার হয়েছেন।