রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে রাজবাড়ী-২ আসনের সাংসদ জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে হামলাকারীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে আশিক পারভেজ নামের এক কনস্টেবল আহত হন বলে জানায় পুলিশ।
আজ বুধবার বেলা সোয়া একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, রাজবাড়ী-২ আসনের সাংসদ জিল্লুল হাকিম ও তাঁর ছেলে আশিক মাহমুদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, হামলা-মামলার অভিযোগ তুলে ধরতে ‘নির্যাতিত জনগণের পক্ষে’ ব্যানারে আজ সকালে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ব্রিফিং শেষে আয়োজকেরা দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এসে অবস্থান নেন এবং মানববন্ধন করেন। তখন হাইকোর্ট এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন যুবক মানববন্ধনকারীদের ওপর হামলা চালায়। সেখানে হামলাকারীরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ছিঁড়ে ফেলে। হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা সাংসদের লোক বলে অভিযোগ করেন মানববন্ধনকারীরা।
এর আগে ক্র্যাব মিলনায়তনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন মোস্তফা মাহমুদ আবু হেনা মুন্সি। তিনি বলেন, ‘জিল্লুল হাকিম ও তাঁর ছেলের ক্যাডার বাহিনীর অত্যাচার, খুন, হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। এক যুগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৩৯ নেতা–কর্মী খুন হয়েছেন জিল্লুল হাকিমের ক্যাডার বাহিনীর হাতে। পঙ্গু হয়েছেন শতাধিক নেতা–কর্মী। সংখ্যালঘু পরিবারের অনেকের জমি দখল করা হয়েছে। প্রাণভয়ে দেশ ছেড়েছে দেড় শতাধিক সংখ্যালঘু। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা এসব হত্যার বিচার চান।’
এ ব্যাপারে সাংসদ জিল্লুল হাকিমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
হামলার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শেখ মো. শামীম প্রথম আলোকে বলেন, রাজবাড়ী-২ আসনের সাংসদ জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধনের পর, একই জায়গায় আরেক পক্ষ মানববন্ধন করতে চায়। গ্রুপটি সাংসদের পক্ষে না বিপক্ষের—সেটি জানা যায়নি। এ সময় একপক্ষ সাংসদের বিপক্ষে থাকা মানববন্ধনকারীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশ কনস্টেবল আশিক পারভেজের মাথায় ইটের আঘাত লাগে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দিতে হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা কোন পক্ষের সেটি জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাবে।
সুত্র: প্রথম আলো