নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুর উপজেলার কুজিপুকুর গ্রামের আব্দুর রশিদের কন্যা খাদিজা খাতুন তার আট বছরের শিশু সন্তান এবং নিজের অধিকার নিশ্চিতের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার ২৫ মার্চ সকালে লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া বাজারে একটি কফি হাউসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান গত ২০১২ সালের ১৩ এপ্রিল একই গ্রামের খলিল মোল্লার ছেলে খায়রুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে। সন্তানের নাম আসিফ বর্তমানে তার বয়স ৮ বছর । বিয়ের এক বছর পরে তার স্বামীর চাকুরীর সুবাদে ঢাকায় বাসা বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রতিনিয়ত তাকে বাবার বাড়ী থেকে টাকা পয়সা আনার জন্য চাপ দেয় তার স্বামী। মেয়ের সুখের জন্য তার বাবা যথা সাধ্য নগদ অর্থ, আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রদান করেন। তারপরেও প্রায় ২ বছর পর তাকে মারধর করে বাবার বাড়ীতে তাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে তাকে আবার স্বামীর বাড়িতে পাঠায় তার বাবাসহ গ্রামের প্রধানগন। সেখান যাওয়ার কয়েকদিন পরেই আবার শুরু হয় নির্যাতন। গ্রাম্য শালিশ অমান্য করে তাকে আবার এক কাপড়ে বাড়ী থেকে বের করে দিলে খাদিজা বাবার বাড়িতেই আশ্রয় নেয়। তার স্বামী তাকে তালাক করেছে মর্মে খদিজাকে আর ফিরিয়ে নেয়নি। এপর্যন্ত খাদিজা তালাক সংক্রান্ত কোন কাগজ পত্র পাইনি। খাদিজার বিশ্বাস তাকে তালাক করা হয়নি। তালাকের কথা বলে পরিকল্পিতভাবে তার সাথে প্রতারনার মাধ্যমে তার ও সন্তানের ভবিষ্যত নষ্ট করছে। সংবাদ সম্মেলনে খাদিজা আরও জানায়, বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি যে, আমার স্বামী মোট ৩টি বিয়ে করেছে। সে একজন নারী ও যৌতুক লোভী মানুষ নামের অমানুষ। আমার অবুঝ শিশুটিকে নিয়ে আমি অথৈই সাগরে নিমজ্জিত। কোথায় যাবো কার কাছে যাবো। আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আমার শিশু সন্তানকে মানুষ করা এবং আমাদের মা-ছেলের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা আজ কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সন্তানটিকে নিয়ে আত্মহত্যা ছাড়া আমার আর কোন উপায় থাকবে না। আপনারা জাতির বিবেক। আপনাদের মাধ্যমে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই। কারন আমি বুঝতে পেরেছি যে, একমাত্র বিশ্ব মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া এই পৃথীবিতে আর কেউ নেই যে আমাকে ন্যায় বিচার দিবে।