স্টাফ রিপোর্টার: চাকরি করার অপরাধে স্ত্রী শারমিনকে গলা টিপে হত্যা করার কথা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন স্বামী সাদ্দাম হোসেন (৩৬)। বুধবার সকালে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান।
সাদ্দাম হোসেন নাটোরের লালপুর উপজেলার মাঝগ্রামের তয়জাল প্রামাণিকের ছেলে। তিনি তাঁর স্ত্রী শারমিন খাতুনকে হত্যার করার কথা গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকার করেন।
আদালতের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ২৩ জানুয়ারি রাতে সাদ্দাম হোসেনের শোয়ার ঘর থেকে তাঁর স্ত্রী শারমিন খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাঁর স্বামী পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় নিহত শারমিনের ভাই মো. রিপন আলী বাদী হয়ে লালপুর থানায় তাঁর ভগ্নিপতি সাদ্দাম হোসেনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশের একাধিক দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থেকে সাদ্দাম হোসেনকে আটক করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাদ্দামকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান মাহমুদের আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
পুলিশ জানায়, দারিদর্্েযর কারণে শারমিন খাতুন ঈশ্বরদী ইপিজেডে চাকরি নিয়েছিলেন। এটা মেনে নিতে পারেননি তাঁর স্বামী। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টায় নিজ ঘরে চাকরির বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগে। একপর্যায়ে শারমিনের বুকের ওপর উঠে তাঁর গলা ও মুখ টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন সাদ্দাম। এই মামলার অভিযোপত্র খুব শিগগির আদালতে জমা দেওয়া হবে।