নাটোরের গুরুদাসপুরে চুরির ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও প্রশাসন ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে মিটার উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় চোর চক্রের রেখে যাওয়া মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের করে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে মিটার প্রতি ৫০০০ টাকা পরিশোধ করে ১৩ গ্রাহক তাদের চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেয়েছে। শনিবার(৬জুলাই) ১৩ জন গ্রাহক ৫ হাজার টাকা করে চক্রের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে দিয়ে মিটারগুলো ফেরত পেয়েছেন বলে জানা গেছে। চক্রের সদস্যরা মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে গেলেও পুলিশ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৬টি মিটার চুরি হয়। সেখানে চিরকুটে লিখে রাখা হয়, ‘চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ফোন করুন।’ পরে নম্বরে কল করলে টাকা চাওয়া হয়। টাকা দিলে ফেরত মিলেছে মিটার। গাড়িষাপাড়া মহল্লার ধান ব্যবসায়ী বাবলুর রহমান তাদের রেখে যাওয়া নম্বরে কল দিয়ে শনিবার চাতালের পাশের একটি স্থান থেকে মিটার উদ্ধার করেছেন।
আরেক চাতাল ব্যবসায়ী রবিউল করিমের বলেন, “আগেও মিটার চুরি হলে ৪ হাজার টাকা দিয়ে ফেরত পেয়েছিলেন। এবার ৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে নদীর তীরে মিটার খুঁজে পান তিনি।”
আলিম, মাহফুজসহ একাধিক গ্রাহকের অভিযোগ, প্রশাসনিকভাবে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় চোর চক্রের কাছে জিম্মি তারা। বাধ্য হয়ে তাদের টাকা দিয়ে মিটার ফেরত নিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ গুরুদাসপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. মোমিনুর রহমান বিশ্বাস বলেন, “চক্রের হোতা যেই হোক, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে গ্রাহকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ অফিসের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, “মিটার চুরির ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”