প্রতিবেদক, বড়াইগ্রামঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ভাতা কার্ডের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করে শতবর্ষী গুলজান বেওয়াসহ তিন মহিলা। সোমবার সকাল থেকে উপজেলা পরিষদের সামনে ব্যানার টাঙিয়ে এই অনশন শুরু করে তারা। পরে চেয়ারম্যান এবং ইউএনও তাদের দায়িত্ব নেয়ায় অনশন ভঙ্গ করে তিন মহিলা।
সূত্র জানায়, চান্দাই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের গুলজান(১০৩) ও মনোয়ারা(৭২) বয়স্ক ভাতা এবং মরিয়ম(৩৯) বিধবা ভাতার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের কাছে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজন তাদের লাঞ্ছিত করে। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এইসব ভাতা পাওয়ার অধিকার তারাও রাখে। নৌকায় ভোট দেয়ার কারণেই কি তাদের আজ এই হাল? আর কত বয়স হলে আর কত অসহায় হলে এই ভাতা মিলবে তাদের। ভাতা চাইতে গিয়ে এই বয়সে তাদের আর কত লাঞ্ছনার শিকার হতে হবে। তাই এর বিচারের দাবিতে তারা আমরণ অনশন শুরু করে।
এই ঘটনায় বিচার প্রত্যাশীদের পাশে দাঁড়ালেন এবং আশ্বস্ত করলেন ইউএনও আনোয়ার পারভেজ এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। তারা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সোহেল রানাকে ডেকে দুর্নীতিমুক্তভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্য্যক্রম ডাটাবেজের মাধ্যমে সুবিধাভোগী নির্বাচনের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী তৎক্ষণাৎ কিছু আর্থিক সাহায্য তাদেরকে প্রদান করেন।
শতবর্ষী মহিলা লাঞ্ছিত হওয়া এবং ভাতা না পাওয়ার ব্যাপারে চান্দাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, কখনোই এই সকল মহিলা তার কাছে আবেদন নিয়ে যাননি এবং তাদের লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটেনি। তিনি আরো জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করে থাকতে পারে।