নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রবাসী বাবাকে হারিয়ে ঈদের খুশি নেই বিথিদের ঘরে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে মানবেতর জীবন-যাপন করছে তারা মা-মেয়ে। বিধি উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের ইন্দ্রাপাড়া গ্রামের প্রবাসী শফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং জোনাইল এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, শফিকুল ইসলাম দিন মজুরের কাজ করতেন। স্ত্রী, দুই মেয়ে নিয়ে চার জনের সংসার। সঞ্চয়ের সবটুকু দিয়ে বড়মেয়েকে বিয়ে দেন। স্বপ্ন, ছোট মেয়ে বিথিকে ভালো করে পড়া লেখা করাবেন। তাই পরিবারের স্বচ্ছলতা আনতে ঋণ-কর্য করে সৌদি আরব পারি জমান। ভালোই চলছিল প্রবাসের আয়ে, মাস গেলেই টাকা আসতো। সংসার খরচ আর ঋণ শোধেই চলে যাচ্ছিল আয়ের সবটুকু তবে ঋণের পরিমান শেষের দিকে। একদিন কাজ করতে গিয়ে দূর্ঘটনায় আহত হয় শফিকুল। হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ মার্চ তার মৃত্যু হয়। হঠাৎ তাদের জীবনে নেমে আসে অমাবশ্যার অন্ধকার। স্বজনদের অপেক্ষা এখন মরদেহ দেশে আশার। নিয়তির বৈরী খেলায় তাদের উপার্জণ বন্ধ। ফলে দু’চোখে শুধুই অন্ধকার।
বিথির সাথে কথা বলতে গেলে কোন ভাবেই কান্না সংবরণ করতে পারছিলেন না। কান্নারত অবস্থায় জানালেন, তাকে নিয়ে বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল। বাবার স্বপ্ন ঘিরে নিজেকে প্রস্তুত করছিল। কিন্তু এখন দু’মুঠো ভাতের চিন্তায় অস্থির। পড়া লেখা সেতো অনেক দুরের পথ। ঈদের প্রশ্নে বলেন, সব অন্ধকার। ঈদতো স্বপ্নের বিষয়।
জোনাইল এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিকুর রহমান বলেন, বিথি অনেক ভালো শিক্ষার্থী। তার পড়া লেখার খরচ বিষয়ে স্কুল থেকে সাধ্যমত সহযোগিতা করা হবে।
জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।