করোনার এই দুর্যোগকালে বুকভরা আশা নিয়ে ক্ষেতে ধান লাগিয়েছিল কৃষক এশা এবং লেশা। কিন্ত দেড় বিঘা জমির ধান জোর করে কেটে নিয়ে গেছে আগ্রান গ্রামের সাবেক মেম্বর শাহ আলম এবং তার লোকজন।
ফসল হারিয়ে একেবারে পথে বসে গেছেন কৃষক এশা এবং লেশা। বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের আগ্রান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ৮১ শতাংশ জমি নিয়ে কৃষক এশা এবং লেশার আগ্রান গ্রামের মৃত গেদু প্রামানিকের ছেলে খোরশেদ প্রামানিকের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১৬ বছর ধরে এই জমিতে ধান চাষ করে আসছিলো কৃষক এশা এবং লেশা। ধান পেকে যাওয়ায় এগুলো কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা।
খোরশেদের সাথে যোগসাজসে মাঝগাঁও ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর শাহ আলমের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন দুবৃত্ত দেশীয় অস্ত্র সহ চিঙ্গিডাঙ্গা বিলের গরীব কৃষকের প্রায় দেড় বিঘা জমির ধান দিনদুপুরে জোর করে কেটে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী এশা এবং লেশা জানান, এ জমিটুকু তাঁর মায়ের থেকে পাওয়া সম্পত্তি। এই জমির ফসল দিয়েই চলে তাদের সংসার ও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ। শাহ আলম মেম্বর ও তার লোকজন যে ধান কেটে নিয়ে গেছে সে ধান ফিরে পেতে চান তারা। এ ধান ফিরে না পেলে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে পথে বসতে হবে।
মুঠোফোনে শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করলে, ধান কাটার বিষয় অস্বীকার করেন। বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।