বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: ২নং বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের উপলশহর গ্রামের লক্ষ্মীকোল বাজার তথা উপজেলা সদরের সাথে সংযোগ সড়ক বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্বরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপলশহর গ্রাম থেকে বড়াইগ্রাম পৌরসভা গামী প্রধান রাস্তা উপলশহর হিন্দু পাড়া নামক স্থানে রাস্তার মাঝে বাঁশ পুঁতে মানুষের চলা-চল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সেখানে উপস্থিত ব্যাক্তিদের এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে বলেন- আমরা আমাদের গ্রাম নিজ উদ্যোগে লকডাউন করেছি। প্রসাশনের অনুমতি নিয়েছেন কিনা? আপনাদের এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান এবং গ্রামের রাজনৈতিক, সামাজিক সকল মানুষ জানে কিনা? লকডাউনের পূর্বে মাইকিং করেছেন কিনা? এমন জনগুরুত্বপূর্ণ কোন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তারা। বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, তেল পাম্প, লক্ষ্মীকোল বাজার এবং বড়াইগ্রাম থানা ও উপজেলা সদরে যাওয়ার উপলশহর, সোনাপুর, নিশ্চিন্তপুর, নওপাড়া এলাকার একাংশের একমাত্র ও সহজ পথ এটা।
এ প্রসঙ্গে ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একাংশের সভাপতি সাখাওয়াত আলী বলেন-এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। কারা কাদের সাথে আলোচনা করে আমাদের এলাকার প্রধান রাস্তা কি কারনে বন্ধ করলো তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। বিষয়টা নিয়ে স্থানীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করে ব্যাবস্থা নেবো। অপর দিকে বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা বলেন-এটা সাধারন জনগণকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া কিছুই নয়৷ আমরা কেউ জানি না, কোন মাইকং নাই, কারও সাথে আলোচনা না করে ইচ্ছা হলো আর রাস্তায় বাঁশ দিয়ে পথরোধ করা হলো। এটা মগের মল্লুক নাকি?
এপ্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জন বলেন-“লকডাউনের নামে এখানে এখন চাঁদাবাজির আসর বসবে। আমাদের গ্রামের ভেতর দিয়ে বেশ কয়েক কিঃমিঃ রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। আর এ রাস্তা দিয়েই সংস্কার কাজে নিয়োজিত গাড়ি যাতায়াত করছে। এখন এ গাড়ি গুলো থেকেই চাঁদাবাজি করবে এ সকল লোকজন। কারন এ কাজ যারা করেছে তারা এরকম শ্রেণীরই মানুষ। হয়তো দেখবেন হাত ধোয়া সাবান-পানির ব্যাবস্থার নামে ভ্যান ও মোটরসাইকেল চালকদের কাছ থেকেও টাকা উঠানো হবে।”
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে উপলশহর গ্রামে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য প্রায় ছোট বড় ১০টি রাস্তা থাকলেও একমাত্র রেজ্জাক মোড়-লক্ষ্মীকোল গামী এরাস্তাটিই বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এবং রাস্তা বন্ধের প্রক্রিয়াও বেশ দৃষ্টিকটু। যার জন্য জনগনের মনে এ বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর ইসলাম সিদ্দিক বলেন-‘আমার সাথে কেউ কোন আলোচনা না করেই একাজ করেছে। কিসের ভিত্তিতে এ কাজ করা হলো আমার জানা নাই।’
২নং বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমিন আলী এ বিষয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন-“এমনটা তো হওয়ার কথা না! আমি এ বিষয়ে কিছুই জানতে পারলাম না?”
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীলিপ কুমার বলেন-“এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নাই। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এরকম সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রশাসনকে জানাতে হবে। এবং অবশ্যই স্থানীয় জনগনের মতামত নিয়ে কমিটি করে কাজটি করতে হবে।”