বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর ‘আগুন পানির ডাক্তার’ হিসাবে পরিচিত নাটোরের অপচিকিৎসক মিনহাজ আলীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার লালমনিপুর গ্রামে তার চিকিৎসালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালদের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সিপিসি-২, নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর সানরিয়া চৌধুরী জানান, গত ১৯ আগষ্ট সংবাদ মাধ্যমে ‘আগুন পানির ডাক্তার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রচার হয়। প্রতিবেদনটি নজরে আসার পর র্যাবের গোয়েন্দা সদস্যরা কথিত ডাক্তার মিনহাজ আলীর উপর নজর রাখছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে কথিত চিকিৎসক মিনহাজের চিকিৎসালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে তাকে হাজির করা হলে সেখানে ডাক্তার পদবী না থাকা সহ এ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি ও ভেটেনারি এই তিন ধরনের অপচিকিৎসার প্রমাণ মেলে। এছাড়াও রোগীর ব্যবস্থাপত্র দেয়াসহ ক্ষতিকারক স্টেরয়েড দেবার তথ্য মেলে। অপচিকিৎসার সব অপরাধ স্বীকার করায় মিনহাজ আলীকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খালিদ হাসানের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়।
এসময় উপস্থিতি ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৌরভ হোসেন। অপচিকিৎসার তথ্য প্রমাণ মেলায় আদালত মিনহাজ আলীকে মেডিকেল ও ডেন্টাল আইন ও ভোক্তা আইনে আঠারো মাসের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে কারাগারে পাঠায়। অপচিকিৎসা বন্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।