নিজস্ব প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামে খাদ্যবান্ধব ওএমএস চাল (১০ টাকা কেজি) বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে একজন ওএমএস ডিলারের লাইসেন্স বাতিল, ক্ষতিগ্রস্থ ৬ কার্ডধারীকে ক্ষতিপূরণ এবং সহযোগির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও আনোয়ার পারভেজ। অভিযুক্ত ওএমএস ডিলার গোপাল চন্দ্র উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং তার সহযোগি ফারুক হোসেন একই ইউনিয়নের চৌমুহান গ্রামের বাসিন্দা।
উপজেলা খাদ্য অফিস সুত্রে জানা যায়, খাদ্যবান্ধব ওএমএস ডিলার গোপালচন্দ্র দীর্ঘদিন থেকে কিছু গ্রাহেকর সাথে প্রতারণা করে তাদের কার্ডের বিপরিতে স্বাক্ষর নিলেও চাল দিচ্ছিলেন না। এছাড়া অসংখ্য প্রবাসির নামে কার্ড তৈবী করে নিয়মিত চাল আত্নসাৎ করে আসছিলেন। এরপর গতমাসের শেষের ভুক্তভোগীরা লিখিত ভাবে বিষয়টি ইউএনও আনোয়ার পারভেজকে জানান।
অভিযোগ পেয়ে ইউএনও খাদ্য পরিদর্শক এবং খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি উপজেলা কমিটির সদস্যদের দিয়ে তদন্ত করিয়ে সত্যতা পান। এরপর তিনি (ইউএনও) বৃহস্পতিবার বিকেলে তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে গোপাল চন্দ্রর লাইসেন্স বাতিল, অভিযোগকারী ক্ষতিগ্রস্থ ৬ জন কার্ডধারীকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রাপ্য চালের বিপরিতে ক্ষতিপূরণ এবং গোপাল চন্দ্রকে সহায়তাকারী ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করে।
এ বিষয়ে কথা বলতে ওএমএস ডিলার গোপাল চন্দ্রের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নাই।
ইউএনও আনোয়ার পারভেজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে কোন প্রকার অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিকাশ কুমার বলেন, আমি বৃহস্পতিবার বদলী হয়ে গেছি তাই বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে গোপাল চন্দ্রের অনিয়মের বিষয়ে আমি অবগত হয়েছিলাম। তিনি বলেন, নতুন অফিসার এসে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।