অনলাইন ডেস্কঃ
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। তবে এখনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফেব্রুয়ারিতে দশম শ্রেণি এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণিতে আনার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে। খুলে দেওয়া হতে পারে। তবে এখনও নীতিগত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ’
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে সীমিত আকারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে মন্ত্রণালয় এখনও নীতিগত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। সিদ্ধান্ত নিলে তা গণমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
গত ২৯ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘আমরা আগে বলেছিলাম সীমিত আকারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি।’ ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেবে, তাদের অন্তত নিয়ে আসতে পারি স্কুল ও কলেজে, সে চেষ্টা করবো। তবে সব নির্ভর করবে করোনা পরিস্থিতির ওপর।’
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছিলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। যদি ফেব্রুয়ারিতে খুলতে পারি তবু অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। যদি ফেব্রুয়ারিতে না খুলতে পারি তাহলে ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। যদি মার্চেও খুলে দিতে পারি তাহলে আমাদের ২০২১ সালের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সমস্যা হবে না। আমরা প্রয়োজনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানোর ব্যবস্থা নেবো।’
গত বছর ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই বছর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দফায় দফায় তা বড়িয়ে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কওমি ছাড়া) বন্ধ করা হয় আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে শ্রেণি পাঠদান সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে।