স্টাফ রিপোর্টার: নাটোরে গণকবর ও মজা পুকুর ভরাট কাজ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ভরাট কাজ বন্ধ ঘোষণা করার কথা নিশ্চিত করেছেন। সেই সাথে সদর উপজেলা পরিষদের বিপরীতে নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভের পার্শ্ববর্তী গণকবর (বেশ কয়েকটি খাল ও প্রায় সাড়ে তিনবিঘা আকৃতির মজা পুকুর) রক্ষা উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। তবে সেক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা আকারে আবেদন জমা দিতে হবে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের ফুলবাগানের বধ্যভ‚মির সামনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে একথা জানান।
জানা গেছে, গত ৪/৫ দিন যাবৎ দিনরাত ২৪ ঘণ্টা বালুবাহী ট্রাক ও বুলডোজার দিয়ে এই গণকবর ও মজা পুকুর ভরাট করা হচ্ছে এমন খবরের প্রেক্ষিতে গতকাল ৯ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সেক্টর কমাÐারস্ ফোরামসহ সকল মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বুধবার বেলা ১১টায় বধ্যভূমির সামনে মুকিযুদ্ধের স্মৃতি বিনষ্ট ও গণকবর হিসেবে চিহ্নিত মজা পুকুর অবৈধভাবে ভরাটের প্রতিবাদে মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরপর মঙ্গলবার রাতেই ভরাট কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
মানববন্ধন হওয়ার কথা থাকায় বুধবার সকাল ১০টা থেকেই মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়। ১১টার দিকে নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে ফোন করলে তিনি মানববন্ধন না করার জন্য অনুরোধ জানান এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের কথা শুনবেন বলে জানান।
কিছুক্ষণ পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম সেখানে উপস্থিত হয়ে সকলের কথা শোনেন এবং তিনি জানান, ইতোমধ্যে ভরাট কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা গণকবর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার জন্য একটা প্রস্তাবনাসহ আবেদন জমা দিলে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।