গত ৪ মার্চ নাটোরের লালপুরে নিশংস হত্যার শিকার হন জুয়েল নামের এক যুবক। ঘটনার ১০ দিন পর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
ত্রিভুজ প্রেমের কারণে নৃশংসভাবে প্রাণ দিতে হয় জুয়েলকে। এমনটাই দাবি করেছে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
পুলিশ সুপার কার্যালয় এর সামনে আজ শুক্রবার(১১ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, লালপুরের দিলালপুরে গত ৪ মার্চ মাঠের মধ্যে থেকে হাত-পায়ের রগ কাটা ও কুপিয়ে জখম করা জুয়েল নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে আলামত হিসেবে পাওয়া মোবাইলের ট্র্যাকিং এর সূত্র ধরে প্রেমিকা সেলিনাকে আটক করে পুলিশ।
সেলিনার জবানবন্দি অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে তার আরেক প্রেমিক মেহেদী হাসান লিটন ও সৎ ছেলে মেহেদী হাসান পরিকল্পিতভাবে মোবাইলে জুয়েলকে ডেকে নেয়। পরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হাতে পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে জুয়েলকে। পরে পার্শ্ববর্তী মাঠে ফেলে দেয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সকল আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে সোপর্দ করেছে লালপুর পুলিশ।