নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষ্মীকোল বাজারে “সোলাইমান এন্ড ব্রাদার্স ফার্মেসী”তে ঔষধ চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পরেছে পলাশ নামের এক যুবক। সে পৌরসভার চক-বড়াইগ্রাম গ্রামের চিত্রশিল্পী জামিল উদ্দিনের ছোট ছেলে। নিয়মিত মাদক সেবনকারী পলাশ মাদক সেবন ও বিক্রির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে জেল খেটে বর্তমানে জামিনে রয়েছে।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, গত কাল (৩জুন/২০২১ইং) দুপুর দেড়টার দিকে বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষ্মীকোল বাজারে অবস্থিত “সোলাইমান এন্ড ব্রাদার্স ফার্মেসী“র কর্ণধার আলহাজ্ব সোলাইমান আলীর অনুপুস্থিতিতে পলাশ ঔষধ কেনার নামে দোকাকে যায়। তখন জাহিদুল ইসলাম নামের একজন কর্মচারী দোকানে উপস্থিত ছিল। নামাজ এবং দুপুরের খাবরের সময় হওয়ায় সেসময় ফর্মেসী বা তার আশে-পাশে জাহিদুল ও পলাশ ছাড়া তেমন কেউ ছিলনা। এমন সময় জাহিদুলের ফোন আসলে সে দোকানের বাহিরে যায়, আর এই সুযোগে পলাশ তার সাথে থাকা ব্যাগে বেশ কয়েক বক্স ঔষধ ভড়ে ফেলে। জাহিদুল দোকানে ফিরে আসলে পলাশ চলে যেতে থাকে কিন্তু জাহিদুল দেখতে পায় দোকানের মেঝেতে এক বক্স ঔষদ পড়ে আছে। তার সন্ধেহ হলে উপরে তাকিয়ে দেখে র্যাকে রাখা ঔষধের বেশ কয়েকটি বক্স নেই। সে সঙ্গে সঙ্গে পলাশকে কৌশনে রাস্তা থেকে দোকানে ডেকে এনে তার ব্যাগ পরীক্ষা করলে বেশ কয়েক বক্স ঔষধ পায়। যার মূল্য হাজার টাকার উপরে। দোকানের সিসি টিভির ফুটেজে চুরির বিষয়টির শতভাগ সত্যতা পাওয়া গেছে।
ইতিমধ্যে “সোলাইমান এন্ড ব্রাদার্স ফার্মেসী“র কর্ণধার আলহাজ্ব সোলাইমান আলী মোবাইল ফোনে কর্মচারী জাহিদ মারফৎ ঘটনা জানামাত্র দোকানে আসলে ঔষধ চোর পলাশ দৈর্ঘ্য সময় তার পা ধরে বসে থাকে এবং কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। কিন্তু তিনি চোর পলাশকে পুলিশে দিতে চাইলে পলাশের বাবা জামিল উদ্দিন ও তার বড় ভাই সুমন এসে মৌখিক মুচলেকা দিয়ে তাকে নিয়ে যায়।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পলাশ দৈর্ঘ্য দিন যাবৎ এই ঔষধ চুরির সাথে জড়িত বলে মনে করছে বাজারের অন্যান্য ঔষধ ব্যবসায়ীরা। কারন সে বেশ কিছুদিন যাবৎ নামি-দামি কোম্পানীর দামি দামি ঔষধের বক্স বিভিন্ন অজুহাতে বিক্রির চেষ্ঠা করতে ছিল লক্ষ্মীকোল ও তার আশে পাশের ঔষধের দোকানে।
প্রকাশ থাকে যে, পলাশের নিজের একটি ঔষধের দোকান আছে বড়াইগ্রাম পৌরসভার মাছ বাজারে এবং সে এক সময় একটি ঔষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধির কাজ করতো।