গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু’গ্রপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া , এবং বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ধারাবারিষা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দতুল মতিন এবং ধারাবারিষা ইউনিয়ন যুুবলীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি বজলুর রশিদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের ত্রাণ বিতরণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধ তুঙ্গে উঠে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের (৭ নম্বর ওয়ার্ড) ঝাউপাড়া-বিন্যাবাড়ি বাজারে যান। সেখানে ত্রাণ বিতরণ নিয়ে চেয়ারম্যান ও বজলুর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বেলা ১২টার দিকে চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকরা বজলুর বাড়িতে হামলা চালায়।
এতে বজলুর বাড়ির টিনের চালা ও দড়জা- জানালা, ঘরের ভেতরের আসবাবপত্র, টিভি, রান্নার চুলা ভাংচুর করে এবং নগদ অর্থ ও গহনা লুট করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে। এসময় চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ও তার গাড়ি চালক মতিনসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে থানায় আনা হয়।
চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের পক্ষে তার ভাতিজা মিল্টন জানান-“সরকারি ত্রাণ তালিকার বাহিরে চেয়ারম্যানের কাছে অতিরিক্ত ত্রাণ দাবি করেন বজলু। কিন্তু ওই অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্নভাবে কুৎসা রটাতে থাকেন বজলু। সবশেষ মঙ্গলবার সকালে চেয়ারম্যান বিন্যাবাড়ি বাজারে গেলে বজলু তার লোকবল নিয়ে চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালিয়ে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।”
এ বিষয়ে বজলু মোবাইল ফোনে বলেন-“ত্রাণ বিতরণের বিষয় নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) সকালে চেয়ারম্যান মতিন ও তার চালকের সাথে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের লোকজন বাড়িঘর ভাংচুর-লুটপাট করেন। তবে তিনি চেয়াম্যানকে ত্রাণ নিয়ে কোন অনৈতিক প্রস্তাব দেননি।”
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন- পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ডিবি পুলিশের ওসি আনারুল ইসলাম বলেন- আটককৃতদের মধ্যে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাটেরে নেওয়া হয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন- পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এঘটনায় আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।