স্টাফ রিপোর্টার: নাটোরের আধুনিক সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের ফ্রিজে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে দেখা যায় ফ্রিজে সংরক্ষিত রয়েছে রক্তের গ্রুপ এবং টাইফয়েড পরীক্ষার প্রধান উপকরণ এই রি-এজেন্ট। একটু খেয়াল করে দেখা যায় টাইফয়েড পরীক্ষার জন্য রাখা salmonella h paratyphi a এবং salmonella h paratyphi b রাবার দিয়ে আটকে রাখা আছে। এগুলোর মধ্যে salmonella h paratyphi b (যার ব্যাচ নাম্বার ০৯৮০৯৯৪-ই এবং কোড নাম্বার গঋঅ/০০৬) রিএজেন্টটি ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এর সঙ্গে salmonella h paratyphi a (যার ব্যাচ নাম্বার 0980996-A এবং কোড নাম্বার MFA/004) এর মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের জুন মাসে। বিধানমতে মেয়াদোত্তীর্ণ এসব উপকরণ হাসপাতালের রেজিস্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করে আলাদা স্থানে রাখার কথা থাকলেও এক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় ঘটেছে।
তাৎক্ষণিকভাবে ব্লাড ব্যাংকের দায়িত্বরত কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ‘এগুলো এভাবেই থাকে, কোন সমস্যা হয় না। বছর শেষে চাহিদাপত্র দেয়ার সময় আলাদা করা হয়। কিন্তু আশংকার কথা হলো, মেয়াদ থাকা উপকরণের সাথে মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ থাকলে ভুলবশতঃ যেকোন পরীক্ষার ফলাফল ত্রুটিপূর্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এ ব্যাপারে কয়েকজন ল্যাব টেকনোলজিস্টের সাথে কথা বলে জানা যায়, এগুলো টাইফয়েড জ্বর পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। টাইফয়েড জ্বর পরীক্ষার জন্য চার ধরনের রিএজেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটিও যদি ভুল হয় সেক্ষেত্রে সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যাবেনা।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মনজুর রহমান উত্তর কণ্ঠকে জানান, কিছুক্ষণ আগেই বিষয়টি জেনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।
রির্পোর্টটি লেখার কিছুক্ষণ আগে সিভিল সার্জন ডা: কাজী মিজানুর রহমানকে বিষয়টি জানালে তিনি উত্তর জানান, এ ধরণের উপকরণসহ যেকোন ওষুধের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সেগুলো হাসপাতালের রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে আলাদা করে ফেলতে হবে। একসাথে রাখার কোন সুযোগ নেই। তিনি আরও জানান, বিষয়টি খোঁজ খবর করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
বিষয়টি সম্পর্কে নাটোরের সচেতন মহলের মতে, সদর হাসপাতলের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অনিয়ম ও গাফিলতি কোনভাবেই কাম্য নয়। প্রয়োজনে এ ধরনের স্পর্শকাতর বিভাগে অদক্ষদের বাদ দিয়ে দক্ষ ও দায়িত্বশীল কর্মচারী নিয়োগ করা উচিৎ।