নাটোরের বড়াইগ্রামে শাকিল আহমেদ বাবু (৩০) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই ছাত্রী অন্ত:স্বত্তা হয়ে পড়লে ধর্ষকের স্বজনদের চাপে জোরপূর্বক তাকে গর্ভপাত করানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রোববার সন্ধ্যায় ওই কলেজ ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বনপাড়ার একটি বেসরকারী হাসপালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ছাত্রী স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ৩য় বর্ষের ছাত্রী। অভিযুক্ত বাবু উপজেলার কুমরুল গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দিন ড্রাইভারের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানা যায়, শাকিল আহমেদ বাবু একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী। কিছু দিন আগে তাদের বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইনে ত্রুটি দেখা দিলে বাবু তা ঠিক করতে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বাবু ওই ছাত্রীকে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী বলেন, নিজের মান সম্মান রক্ষাসহ ওই যুবকের পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে বিষয়টি আমি কাউকে জানাতে পারিনি।
ওই ছাত্রীর মা জানান, ছোট বেলায় মেয়েটি তার বাবাকে হারিয়েছে। এরপর থেকে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে আমি তাকে লেখাপড়া শেখাচ্ছি। লম্পট বাবু আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
ডা. মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, মেয়েটির গর্ভপাতের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবে।
সোমবার বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।