নাটোরের লালপুরে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার এড়াতে হাজারও নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। অন্যদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের অনুসারীদের নিয়ে প্রতিদিনই দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে মিছিল, শান্তি সমাবেশ, সড়কে মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে নিজেদের শক্তি জানান দিচ্ছেন।
উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৯ অক্টোবর থানা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনর রশীদ, থানা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুস সালামসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ওই ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনের নামে নাশকতার মামলা করে পুলিশ। এরপর থেকে গ্রেফতার আতঙ্কে উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের হাজারো নেতাকর্মী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম ও সাজেদুল ইসলাম হলুদসহ সাধারণ কর্মীদের দাবি, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। পুলিশ তাদের কিছুই বলছে না।
লালপুর ইউনিয়ন বিএনপির স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, পুলিশ বিএনপির কর্মীদের গ্রেফতার করছে। সে কারণে কোনো অন্যায় না করেও শুধু বিএনপির রাজনীতি করি বলে কয়েকদিন ধরে আসামির মতো পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও বিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী মিষ্টু বলেন, পুলিশ প্রতিদিন নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি ও গ্রেফতার করছে। এ গ্রেফতার এড়াতে উপজেলার ২০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে রয়েছেন।
ঈশ্বরদী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজ রঞ্জু বলেন, পুলিশের করা মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় বিএনপির সাধারণ কর্মীদের বাড়িতে থাকা হারাম হয়ে গেছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন জানান, নাশকতার ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযানচলমান রয়েছে।