তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হুকুমে ২১ আগস্টে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে ১৬৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক মতবিনিময় সভা ও বিদ্যালয় সমূহে ওয়াইফাই এর রাউটার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সম্মতিতে এবং তার নির্দেশে তারেক রহমানের হুকুমে পাকিস্তান থেকে জঙ্গী, মৌলবাদী, ভারাটে সন্ত্রাসী এনে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। একাত্তরের চিহ্নিত রাজাকার জামায়াতের মন্ত্রী মুজাহিদ ২০০৪ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য বৈঠক করে। এগুলো আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে। তারা তো সব জানো না। এক ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলে ফেসবুকে সরকারকে গালি দিয়ে স্ট্যাটাস দেয় তরুণরা। তারা জানে না, ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭ সালে এদেশের ৩০ শতাংশ বাড়িতেও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরও আগে উন্নয়নশীল দেশ হতো, প্রযুক্তি নির্ভর হতো। সেই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হত্যা করতে চেয়েছিল পাকিস্তানী এজেন্টরা। তারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছে। পাকিস্তানীরা এদেশের বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিকদের হত্যা করেছে। ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানী করেছে। তারা আমাদের দেশকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত করেছে। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছরে দেখকে সাজিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ গড়তে কাজ করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টা দেশের জন্য, জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও সুশাসন উপহার দিয়েছেন।
পলক আরও বলেন, বিগত ১৩ বছরে আমরা সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়েছি। ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছি। ৬৫ হাজার প্রাথমিক স্কুল, ৩৫ হাজার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে, সাড়ে ৩ হাজার কলেজ, ২ হাজার ২৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়, সাড়ে ৩ হাজার ভূমি অফিস, ১৮ হাজার কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক সব মিলিয়ে আমরা ১ লক্ষ ৯ হাজার হাইস্পীড ব্রডব্যান্ড সংযোগ আমরা পৌঁছে দেবো আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান, শামীমা হক রোজী, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলী আশরাফ প্রমুখ।