তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাঙ্গালী জাতি ও বিশ্বের ইতিহাসের একটি কলঙ্কতম দিন ১৫ই আগষ্ট। আজকের এই দিনে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। ৭১ এর পরাজিত সৈনিক, ৭৫ এর ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তিনি সারাজীবন জনগণের জন্য কাজ করেছেন, ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে উপহার দেয়ার জন্য। বঙ্গবন্ধু আর ১০ দশ বছর বেঁচে থাকলে দেশ আরো উন্নত হতো। বিদেশে বঙ্গবন্ধুর যে খুনিরা লুকিয়ে আছে, তাদেরকে দেশে এনে বিচার কার্যকর করার আহŸান জানাচ্ছি। সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সরকারি কর্মকর্তাদের পাশে সবসময় ছিলেন, জনগণের টাকায় আমাদের, আপনাদের বেতন হয়। তারা যেন প্রকৃত সেবা পায়। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জীবন ও মহান কীর্তি সম্পর্কে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উচু করে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ঘাতকদের হাতে খুন হোন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য ডাক দিয়েছিলেন। ১৯৮১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তিনি একজন সফল প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ হিসেবে পরিণত করেছেন। ১২ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে, ডিজিটাল দেশ হিসেবে পরিণত করেছেন। বিশ্বের ইতিহাসে কারবালার সেই ঘটনা আর বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনা আমাদের জন্য কালো অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুর নাম আজ মহাকাশে স্থাপিত হয়েছে। তিনি দেশের দুখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। খুনি জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে বিচার বন্ধ রেখেছিল। তারা খুনিদের বিচার না করে বিভিন্নভাবে পুরষ্কৃত করেছে। বিদেশে হত্যাকারীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। দেশের উন্নয়ন রোধে এখনো যারা তৎপর আছে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহŸান জানান তিনি।
রবিবার (১৫ আগষ্ট) সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদের চলনবিল সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. ওহিদুর রহমান শেখ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, শামীমা হক, সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার জামিল আকতার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রকিবুল হাসান, সিংড়া থানার ওসি নূর-এ-আলম সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল ওদুদ দুদু প্রমূখ। পরে তারা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পথচারীদের মাঝে গাছ বিতরণ করেন।
পরে সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমে পলক এমপি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. ওহিদুর রহমান শেখ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, শামীমা হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নবীর উদ্দিন, আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সরফরাজ নেওয়াজ বাবু, পৌর আ’লীগের সহ-সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সভাপতি সোহেল তালুকদার, জেলা পরিষদের সদস্য সালাহউদ্দিন আল আজাদ, সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি খালিদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, সিংড়া জিএ কলেজের ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েল, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সঞ্জয় সাহা প্রমুখ। পরে তারা দেড় হাজার পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।