নাটোরে বাস চলাচলকে কেন্দ্র করে মালিক সমিতির দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের হরিশপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সব বাস কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নাটোর সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবু রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতের দু’জনের অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- মো. আবুল হোসেন (৪৫), মো. সুরুজ মিয়া (৪০), কিরন হোসেন (৫০), মমিনুল ইসলাম হিমেল (২৯), মো. খোকা (২৮) এবং গুলিবিদ্ধ সুবেল (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাস চলাচলকে কেন্দ্র করে মালিক সমিতির দু’পক্ষের মধ্য মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আরপি রোকেয়া পরিবহনের মালিকের ফাতিজা সুবেল গুলিবদ্ধসহ মালিক সমিতির মাস্টার কিরনসহ আরও পাঁচজন গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধসহ আহতদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধসহ দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
নাটোর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাসিদুর রহমান খান চৌধুরি এহিয়া বলেন, নাটোরে সাড়ে ৩০০ বাস মালিক রয়েছেন। এরমধ্য রাজকীয় বাসের মালিককে এককভাবে ১৫ গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তারপরও তার ২০টি গাড়ি সড়কে চলাচল করে। এ বিষয়ে তাকে বলা হয়, আরও বাস মালিক রয়েছে তাদেরকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হোক। এরপর তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাহিনী দিয়ে এ হামলা চালায়। এ হামলায় ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আমরা এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দাবি করছি।
নাটোর সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবু রায়হান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। দু’পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।