নাটোরে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে স্ত্রী হাসনা হেনাকে হত্যার অভিযোগে স্বামী শরিফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।
সেই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। মামলার অপর তিন অভিযুক্ত সাহারা বেগম, জহিরুল ইসলাম জনি এবং সামিরুল আক্তার কে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
মামলার সূত্রে জানা যায়, নাটোর সদর উপজেলার করোটা গ্রামের আসামি শরিফুল ইসলামের সাথে উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের হাসনাহেনার বিয়ে হয় ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর। বিয়ের পর থেকেই শরিফুল ইসলাম হাসনাহেনাকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের ৫ ডিসেম্বর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। যৌতুকের দাবি করবে না এবং নির্যাতন করবে না এই শর্তে পরে দুই পরিবারের সমঝোতায় ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি তাদের আবারও বিয়ে হয়। কিন্তু শর্ত ভেঙ্গে শরিফুল ইসলাম আবারও হাসনাহেনাকে দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে এবং এক পর্যায়ে বেদম মারপিট করে।
এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাত্রিবেলায় হাসনাহেনাকে বেদম মারপিট করলে সে মারা যায়। এটা বুঝতে পেরে তার স্বামী শরিফুল হাসনাহেনার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার বাবার বাড়িতে খবর দেয়। এরপরে পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানা কোন অভিযোগ গ্রহণ করেনা। পরে ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হাসনাহেনার মা মর্জিনা বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শরিফুল ইসলাম, সাহারা বেগম, জহুরুল ইসলাম জনি এবং সামিরুল আক্তারের নামে নারী নির্যাতন ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তাহেরের ৬ বছর পর আদাল ত শরিফুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে অন্যান্য আসামিদের খুশির বেকসুর খালাস দেন।