নাটোরের মিনি কক্সবাজার খ্যাত নলডাঙ্গার হালতি বিলে নৌ ভ্রমণের সময় কৌশিক ইসলাম (২১) নামে এক কলেজ ছাত্র তার সহপাঠির সাথে জোর পুর্বক যৌনাচার সহ নগ্ন ভিডিও ধারন করায় মামলা হয়েছে। ভিকটিম ওই কলেজ ছাত্রী নিজেই বাদি হয়ে নলডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ বুধবার দিবাগত রাতে বাগাতিপাড়া উপজেলার গালিমপুর এলাকা থেকে কৌশিক ইসলামকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত কলেজ ছাত্র কৌশিক বাগাতিপাড়া উপজেলার গালিমপুর এলাকার জুয়েল ইসলামের ছেলে। ভিকটিমের বাড়িও একই গ্রামে।
পুলিশ ও নলডাঙ্গা থানায় দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই কলেজ ছাত্র কৌশিক ইসলাম তার প্রতিবেশী সহপাঠিকে সাথে নিয়ে নাটোরের মিনি কক্সবাজার খ্যাত নলডাঙ্গার হালতি বিলের পাটুল এলাকায় আসেন। তারা বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য মোঃ জামাল নামে এক মাঝির ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া করে নৌ ভ্রমনে যায়। নৌকায় ছই দেয়া ছাউনির মধ্যে কৌশিক ইসলাম তার মোবাইল ফোনে সহপাঠি ভিকটিমের স্বাভাবিক ছবি ও ভিডিও ধারন করতে থাকে। এক পর্যায়ে মোবাইলটি গোপনস্থানে রেখে ভিকটিমকে জোর করে জাপটে ধরে যৌনাচারে লিপ্ত হয়। যা গোপনে রাখা মোবাইল ফোনে ভিডিও চিত্র ধারন হয়। জোর করে যৌনাচারের সময় ভিকটিম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে পাটুল ঘাটে নৌকার মাঝির সহায়তায় কৌশিক তার সহপাঠি ভিকটিমকে নামিয়ে সড়কের ওপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ভিকটিমের জ্ঞান ফিরে আসার পর সে তার বাড়ি বাগাতিপাড়ার গালিমপুরে ফিরে আসেন। পরে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে কৌশিক ইসলাম তার মোবাইল ফোনে গোপনে ধারনকৃত আপত্তিকর ভিডিও চিত্র ভিকটিমের সজনসহ ইন্টারনেটে বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে দেয়। এতে করে ভিকটিম ও তার পরিবারের সম্মানহানি সহ জীবনের হুমকি হয়ে দেখা দিলে সে বাদি হয়ে নলডাঙ্গা থানায় কৌশিক ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ বুধবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে কৌশিকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার(১০ জুলাই) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
নলডাঙ্গা থানার ওসি আবুল কালাম মামলা দয়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘মামলা দায়েরে পর বুধবার বিকেলে কৌশিককে বাগাতিপাড়া উপজেলার গালিমপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ আদালতের অভিযুক্ত কৌশিককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’