সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে নাটোরের লালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস্ হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট’স আসোসিয়েশন অব নাটোর-বাংলাদেশ (PUSAN) আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি নাথাকায় এবং অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন না করায় চরম বিরক্ত ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আয়োজকদের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, “আমাদের স্পর্শকাতর এবং অস্তিত্বের জায়গা বঙ্গবন্ধু। আমাদের নাটোরের ছেলে-মেয়েরা দেশের ৯৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। এই লেখাপড়ার ক্ষেত্রে যদি বঙ্গবন্ধু না থাকে, যদি শেখ হাসিনা না থাকে, জাতীয় পতাকা না থাকে, জাতীয় সংগীত না থাকে তবে কীসের লেখাপড়া!”
প্রধান বক্তা হিসেবে নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলে বলেন, “পুসানের যারা বক্তব্য রেখেছেন তাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বক্তব্য রাখা উচিত। আমরা এখানে সমাবেত হয়েছি, আমাদের মতের ভিন্নতা থাকলেও এখানে সবার আগে আমাদের জাতির পিতার ছবি টাঙানো উচিত ছিল। সবাই একসঙ্গে কন্ঠ মিলিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা উচিত ছিল।”
অনুষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান এবং নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সমাজ সেবায় অবদানের জন্যে মো. শহিদুল ইসলাম বকুলকে বীর উত্তম খাদেমুল বাশার এওয়ার্ড, শেফালী আক্তারকে পুসান গোল্ডেন এওয়ার্ড, স্বাস্থ্য সেবায় অবদানের জন্যে নাটোর ইয়ুথ ব্লাড ডোনার এসোসিয়েশনকে পুসান ডায়মন্ড এওয়ার্ড, শিক্ষায় অবদানের জন্যে সমর চন্দ্র পালকে মহারাণী ভবানী এওয়ার্ড প্রদান করা হয়, চিকিৎসা ও সমাজসেবায় অবদানের জন্যে সাইদুর রহমান এবং সাংবাদিকতায় অবদানের জন্যে ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবনকে চলনবিল রত্ন এওয়ার্ড, কৃষিতে অবদানের জন্যে ড. মো. লতিফুল ইসলামকে অধ্যক্ষ এম এ হামিদ এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং বিকেলে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও নবীন বরণ এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।