নাটোরের বড়াইগ্রামে ১১ বছরের কিশোরীকে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় বাবাকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বড় বিঙ্গইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার সন্ধায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
কিশোরীর বাবার নাম হারেজ আলী (৩০)। তিনি উপজেলার বাগডোব গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে।
তিনি বর্তমানে আহত অবস্থায় বড়াইগ্রাম উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
হারেজ আলী বলেন, আমার মেয়ের মায়ের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে অনেক দিন। আমার দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা তাদের মায়ের কাছেই থাকে। আমি সাধ্যমত দুই সন্তানের ভরণপোষণ দিয়ে আসছি। বড় মেয়ের বয়স ১১ বছর এবং ছোট মেয়ের বয়স প্রায় ৬ বছর। হঠাৎ করেই জানতে পারি আমার বড় মেয়েকে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিয়ে দিয়েছে। আমি বুধবার সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার কারন জানতে চাইলে তাদের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমার সাবেক স্ত্রীর বাবা মুক্তার হোসেন(৫০), তার বর্তমান স্বামী মকবুল হোসেন(৪০), মকবুল হোসেনের ছেলে মানিক হোসেন (২০) আমাকে মারপিট করে। এখানে উল্লেখ্য যে আমার সাবেক স্ত্রীর বর্তমান স্বামী মকবুল, মকবুলের ছেলে মানিকের সাথেই আমার মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে, মানিক এর আগেও দুইটি বিয়ে করেছিল।
সৎ ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে মারপিট করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমি আমার কিশোরী মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার বিচার চাই।
সাবেক স্ত্রী মনিরা খাতুন বলেন, আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে সাবেক স্বামী কোন খরচ দেয় না। আমার বর্তমান স্বামীর সার্বিক সহায়তায় আমি কষ্ট করে দুই মেয়েকে বড় করেছি। তাই আমার মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে বর্তমান স্বামীর আগের পক্ষের ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছি।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।