প্রার্থীতা বাতিল নিয়ে দফায় দফায় আপিল ও পাল্টা আপিলের পর অবশেষে নাটোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড (বড়াইগ্রাম) নির্বাচনে সদস্য পদে আবুল কালাম জোয়াদ্দারের প্রার্থীতা বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার আইনজীবি অ্যাডভোকেট মো: আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিকালে তার করা পিটিশন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদেশে একই সঙ্গে তার টিসিবি’র ডিলারশীপ বাতিলেরও নির্দেশ দেয় আদালত।
তার আইনজীবি অ্যাডভোকেট মো. আরিফ হোসেন জানান, টিসিবির ডিলার হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকার কারণে গত ২১ সেপ্টেম্বর আবুল কালাম জোয়াদ্দারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এর পরে প্রার্থীতা বাতিলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। গত ১১ সেপ্টেম্বর এ আপিলের শুনানী শেষে আবুল কালাম জোয়াদ্দারের মনোয়নপত্র বাতিল করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আপিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। কিন্তু পরদিন তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ইয়াছিন আলী তার প্রার্থিতা বহাল আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে আদালত ৬ সপ্তাহ পর এ ব্যাপারে হাইকোর্ট ডিভিশনে শুনানী অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত দেয়। এতে কার্যত তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। পরে আবুল কালাম জোয়াদ্দার এ আদেশের বিরুদ্ধে পিটিশন আবেদন করলে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ শুনানী শেষে পুনরায় তার প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেন এবং তাকে প্রতীক বরাদ্দের জন্য নির্দেশ দেন।
আবুল কালাম জোয়াদ্দার জানান, জনগণের মত প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছে মাননীয় হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট। বিগত পাঁচ বছর আমি ভোটারদের সাথে সমন্বয় করে উন্নয়ন কাজ করেছি, তাই আশা করি ভোটাররা আমার কাজে যথাযথ মূল্যায়ন করবে। আমি আমার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।