নাটোরের বড়াইগ্রামে নজরুল ইসলাম (৪০) ও তার স্ত্রীকে মারপিট করে টাকা, স্বর্নালাংকার লুটপাট করার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে বাদি নজরুল ইসলাম।
অভিযোগকারী সোমবার(২৯আগস্ট) সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন।
শনিবার(২৭ আগস্ট) নজরুল ইসলাম তার বড়িতে হালায় অংশগ্রহণকারীদের আসামী করে বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর থেকে অভিযুক্তদের অব্যাহত হুমকিতে এলাকা যেতে পারছেন না তিনি।
নজরুর ইসলাম উপজেলা নগর ইউনিয়নের পার-গোপালপুর গ্রামের খায়ের পুত্র এবং তার স্ত্রীর নাম চম্পা (৩০) খাতুন। নজরুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎষা দেওয়া হয়েছে। আর তার স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলের সাথে ওমর আলীর ছেলে সুরুজ আলী শ্রমিকের কাজ করার জন্য সৌদি আরব যায়। সেখানে সরুজ আলী পাঁচ মাস কাজ পর দেশে ফিরে আসে। দেশে আসার পর আমার কাছে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দাবী করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে শুক্রবার বিকেলে সুরুজ আলীর ভাই জুয়েল রানা (৩২), জেকের আলী (৪৫), জিয়া (৩৩) নজরুল ইসলামসহ ১০ থেকে ১২ জন আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারপিট করে ঘরের ষ্টীলের বাক্স ভেঙ্গে দুই লক্ষ টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ন ও ৪ ভরি চাদীনার গ্রহনা নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগের পর থেকেই আমার বাড়ির আশ পাশ দিয়ে তারা টহল দিচ্ছে। বিভিন্ন রকম হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে আমি এলাকা যেতে পারছিনা।
সুরুজের ভাই জুয়েল রানা বলেন, আমার ভাইয়ের বিদেশে যাওয়ার জন্য নজরুলের হাতে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেই। পরে আবার ৫০ হাজার টাকা দেই। কিন্তু আমার ভাই সে দেশে কাজ করতে পারে না। শুক্রবার বিকেলে কয়েকটি চরথাপ্পর দেওয়া হয়েছে। টাকা স্বর্নালাংকার নেওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। যদি বাধা সৃষ্টি করে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।