নাটোরের লালপুর দেশের সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত ও উষ্ণতম জনপদ। পদ্মাপাড়ের এ জনপদ পুড়ছে দাবদাহে। এক পশলা বৃষ্টির জন্য অধীর অপেক্ষায় রয়েছে এখানকার প্রাণীকুল। তেতে উঠা এ জনপদে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। বৈশাখী খরতাপ আর অনাবৃষ্টি বাড়িয়েছে কৃষকের দুশ্চিন্তা। খরতাপে শুকিয়ে যাচ্ছে গাছে থাকা আম ও লিচুসহ মধুমাসের ফল।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলায় এবার এক হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয়েছে। এই সকল জমি থেকে হেক্টর প্রতি ১৫ মেট্রিকটন হিসেবে ২৭ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু অনাবৃষ্টি আর দাবদাহ আমের উৎপাদন লক্ষমাত্রা পূরণে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আমচাষিরা জানান, অনাবৃষ্টি ও দাবদাহের কারণে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। গুটি ঝরে পড়া ঠেকাতে নিয়মিত সেচ দেয়া লাগছে। শ্যালো মেশিনে সেচ দিতে গিয়ে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় দুই থেকে তিন গুণ সময় বেশি লাগছে। এতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। আবার অনেকেই পুঁজির অভাবে ঠিকমতো সেচ দিতে পারছেন না। তাঁরা তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে, কখন বৃষ্টির দেখা মিলবে।
উপজেলার বাওড়া গ্রামের আম চাষি শহিদুল ইসলাম ও গোফরান পাটোয়ারী জানান, তীব্র খড়ায় আম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আমের গুটি ঝড়ে পড়ছে। তবে আমের ফলন বিপার্যয়ের মধ্যে এবার আমের ভালো দাম পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তারা
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, অতি খরার কারণে অনেক বাগানে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষক পর্যায়ে আম বাগনে নিয়েমিত সেচ ও ছোট আম গাছে পানি স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আমের চাষ হওয়ার পরও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আমের উৎপাদন লক্ষমাত্রা পূরণে শঙ্কা রয়েছে।