রাজশাহীতে আবাসিক হোটেল থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত ১২টার দিকে নগরীর লক্ষ্মীপুরে ড্রীম হ্যাভেন নামের একটি হোটেলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে তার লাশ পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা নারীটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত নারীর নাম জয়নব বেগম (৪১)। তিনি নাটোর সদর থানার নারায়নপুর গ্রামের তসির প্রামানিকের মেয়ে। রোববার সকাল ১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে জয়নব ও এক ছেলে ওই হোটেলে উঠেন।
তবে হোটেলের রেজিস্টারে ওই নারীর নাম জুলেখা (২৩) ও ছেলের নাম মিজান (২৭) লেখা রয়েছে। এছাড়াও দুইজনের বাড়ি গোদাগাড়ীতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ওই নারীর ব্যাগে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি পাওয়া গেছে। সেখান থেকে নারীটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রাজপাড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, হোটেল কক্ষে নারীর লাশ পড়ে আছে এমন খবর পেয়ে রাত ১১ টার দিকে নগরীর লক্ষীপুর ড্রীম হ্যাভেনে যায় পুলিশ। পরে পুলিশ তালা ভেঙে ওই কক্ষে প্রবেশ করে। এর পর সিআইডি সুরুতহাল তৈরী করার পর পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
ওসি বলেন, নিহত নারীর লাশ কক্ষের খাটের উপর পড়ে ছিল। তবে পয়ের কিছু অংশ ঝুলে ছিল খাটের নিচে। তাকে শ^াসরোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ওসি জাহাঙ্গীর বলেন, স্বামী পরিচয় দেয়া মিজান দুপুর দেড়টার দিকে ৪০৩ নম্বর কক্ষের দরজার বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যায়। রাতে মিজান না ফেরায় হোটেল কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। এর পর তারা পুলিশকে খবর দেন।
ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হোটেলে জয়নব বেগমকে ডেকে এনে হত্যা করেছে মিজান। তাদের দুইজনের বাড়ি গোদাগাড়ীতে উল্লেখ রয়েছে। হোটেলের খাতায় তারা ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করেছে। কিন্তু পরে পুলিশ জানতে পারে ওই নারীর বাড়ি নাটোরে। মিজান নাম ব্যবহারকারি ওই ছেলেকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।