নাটোরের লালপুর উপজেলায় র্যাব-৫, সিপিসি-২ (নাটোর) অভিযান চালিয়ে ইমো হ্যাকিং করে প্রতারণা পূর্বক অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ১৬ জন ইমো হ্যাকার কে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে ২০২১) রাতে উপজেলার মোহরকয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ উদ্দিন জানান, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি অপারেশন মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার মোহরকয়া গ্রাম এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ইমো হ্যাকিং করে প্রতারণাপূর্বক অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একটি ল্যাপটপ, ছয়টি মোবাইল, ১১টি সিমকার্ড, দুইটি রাউটারসহ মোহরকয়া গ্রামের এয়ারুলের ছেলে পাপ্পু আলী (১৯), বজলুর রহমানের ছেলে আজিম আলী ওরফে সম্রাট (১৯), চকবাদকয়া গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে অন্তর উদ্দিন ওরফে বিল্লু (১৮), লোকমান হোসেনের ছেলে সজীব আলী (১৮), পাইকপাড়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে স্বাধীনকে (১৮) আটক করে।
পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য মতে পৃথক অভিযানে মোহরকয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রাম এলাকা থেকে একটি ট্যাবলেট কম্পিউটার, সিমকার্ডসহ ২১ টি মোবাইল সেট, ৬ টি গ্যাসলাইট, এ্যালুমনিয়াম ফয়েল পেপার ২ টি রোলার, নগদ ১ হাজার ২০০ টাকাসহ মোহরকয়া ভাঙাপাড়া আজিজ মোল্লার ছেলে ফরিদ উদ্দিন (২৫), ইয়াসিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২২), মনসুর রহমানের ছেলে মোহন সরকার (২২), নুর আলম সরকারের ছেলে শাহপরান সরকার (২০), উত্তর লালপুর পুরাতন বাজার গ্রামের সাইফুর রহমান মজনুর ছেলে আশিকুর রহমান বিন্টু (২২), রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মহিন (২১), মোহরকয়া নতুনপাড়া গ্রামের ইনছার মন্ডলের ছেলে শাহাবুল ইসলাম (৩৫), মনিহারপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন (২৬), বিলমাড়ীয়া মিলহাউজপাড়া গ্রামের আতাহার মন্ডলের ছেলে আলম হোসেন (৩৭), নাগশোষা গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩০) এবং মো. রবকত প্রামানিকের ছেলে মো. নাজিম আলীকে (৩০) আটক করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতদের নয় জনকে অভিযান পরিচালনার সময় মাদক সেবনরত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ‘ইমোথ ব্যবহারকারীদের ইমো হ্যাক করে আসছিল। পরবর্তীতে তাদের পরিচিতজনদের নিকট হতে প্রতারণাপূর্বক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে তাদেরকে ইয়াবা সেবনকারী বলে ধারণা করা হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত ১৬ জন ইমো হ্যাকারদের বিরুদ্ধে নাটোর জেলার লালপুর থানায় ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এবং মাদকসেবী ৯ জনের বিরুদ্ধে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এ পৃথক দুইটি মামলা পক্রিয়াধীন।