করোনাভাইরাসের প্রভাবে শ্রমিক সঙ্কট থাকায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনায় কৃষকের জমির ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছে নাটোরের সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সোহাগ বাড়ি গ্রামের বিধবা মহিলা আলেয়া, ওমর ফারুক, মাহমুদুল ও মহিদুলের নামে গরিব কৃষকের জমির পাকাধান রোজা রেখে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কেটে মাড়াই করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।
সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে ধান কাটায় অংশ নেন সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েলসহ অর্ধশত নেতাকর্মীরা।
কৃষক ওমর ফারুক বলেন, আমি গরিব মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে ধান কাটা শ্রমিক না পাওয়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমার ধান কেটে মাড়াই করে বাড়িতে দিয়ে গেছে। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের।
বিধবা মহিলা আলেয়া বলেন, ‘করোনার কারণে কোনও শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। কোথা থেকে খবর পেয়ে ছাত্রলীগের একদল ছেলে এসে আমার মাঠে ধান কাটতে শুরু করে দিলো। তারা শুধু আমার ধান কেটেই দেয়নি। ধান মলন দিয়ে ঘরে বস্তা ভরে তুলে দিয়ে গেছে।’
গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজের ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েল বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাই উপজেলার গরিব কৃষকদের ধান কাটা কাজে সহযোগিতা করতে উপজেলা ছাত্রলীগ একটি টিম গঠন করেছে। যেখানেই শ্রমিক সংকট, সেখানেই ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত হয়ে কৃষকের ধান কেটে দেবে।
ছাত্রলীগের কর্মীরা জানান, এই ধান কাটার কার্যক্রম তারা গত বছরেও করেছেন। এবছর উপজেলার প্রতিটি ইউনিটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কৃষকের পাশে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এই কাজের জন্য কৃষক ও জমির মালিক ব্যাপক খুশি হয়েছেন।
সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিগত দিনের বন্যা ও করোনায় মানুষের বিপদে-আপদে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছে। চলনবিলের অল্প জমি হলেই শ্রমিকরা ধান কাটতে চায় না। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে ছাত্রলীগ।