গত বুধবার নাটোরের বিভিন্ন স্থানে বিস্তীর্ণ এলাকার বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় চলতি মৌসুমের ইরিবোরো পাকা ও আধাপাকা ধানগাছ জমিতে পড়ে গেছে। এর ফলে কিছু কিছু পাকা ধান ঝরে পড়েছে। এতে করে বোরো ধানের ফলন ক্ষতির মুখে পড়েছে।
নাটোর সদর উপজেলার মল্লিকহাটী মহল্লার কৃষক সালাহ্ উদ্দিন বাবলু বলেন, বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় আমার জমির পুরো ধান শুয়ে পড়েছে। বোরো ধান আবাদে খরচ বেশি, দাম কম, মজুর সংকট ইত্যাদি কারণে বেশি জমিতে ধান আবাদ করা বাদ দিয়েছি। এবার মাত্র আট বিঘা জমিতে ধান করেছি। ঝড়ের আশঙ্কায় এই জমির ধান কেটে বাড়িতে আনতে হাঁপিয়ে উঠেছি। দফায় দফায় ঝড়, বৃষ্টির আশঙ্কায় ধান জমিতে শুইয়ে পড়াসহ নানা কারণে ধানের ক্ষতি হয়েছে।
নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের মোজাম্মেল সরদার জানান, বুধবারের বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় তার জমির ধান পুরোটাই শুয়ে পড়েছে। ধান শুয়ে পড়ায় আশানুরূপ ফলন পাবোনা।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৯ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে বোরা ধানের চাষ করা হয়েছে। ধানের ফলন ভালো। ঝড়-বৃষ্টিতে জেলার চলনবিল অধ্যূষিত সিংড়া, নলডাঙ্গার হালতিবিল, নাটোর সদর, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় কিছু কিছু জমির পাকা ও আধাপাকা ধান শুয়ে পড়েছে।” তবে ঝরে পড়া ধানের সংখ্যা খুবই কম। তবে ঝড়ের কারণে আম, পাট বা শাকসব্জির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি বরং উপকার হয়েছে বলে তিনি জানান।