নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় দেশব্যাপী চলমান লকডাউনে কৃষিপণ্য ও কৃষি শ্রমিকদের ফসল কাটার কাজ অব্যহত রাখার স্বার্থে শ্রমিক পরিবহনকে অগ্রাধিকার দেয়া হলেও নাটোরে ঝলমলিয়া হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে। বোরো মৌসুমে ধান কাটতে আসা শ্রমিকর চাঁদা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাটোরে শুরু হওয়া বোরো ধান কাটার মৌসুমে কাজের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও কয়েক হাজার কৃষি শ্রমিক আসেন নাটোরের হালতিবিল ও চলনবিল এলাকায়। চলতি বছরে এ সময়ে সারাদেশে কঠোর লকডাউন থাকায় এ সকল কৃষি শ্রমিক আসতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তার উপর নাটোরের ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন এসকল কৃষি শ্রমিক।
সরেজমিনে খবর নিয়ে দেখা গেছে, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ স্বাক্ষরিত প্রত্যায়নপত্র নিয়ে ৩৩ জন শ্রমিক চলন বিলে প্রবেশ করতে গেলে নাটোরের ঝলমলিয়া হাইওয়ে ফাঁড়ির সামনে আটকে দেওয়া হয় তাদের পরিবহনটি।
শ্রমিকরা জানান, চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যয়ন পত্র মানছেন না পুলিশ। তারা টাকা দাবি করছেন। টাকা না দিলে মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলেও জানান কৃষি শ্রমিকেরা।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজওয়ান চাঁদা দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, উপরের নির্দেশে এই কার্যক্রম চালাচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ পিএএ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নাটোরের বিভিন্ন এলাকার বিলে এখন ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সকল কৃষি শ্রমিক যাতে ধান কাটতে যেতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।