স্বপ্ন সাঁকো রিপোর্ট:
করোনা পরিস্থিতিতে সরকার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিলেও মানছে না কওমি মাদরাসাগুলো। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে মাদরাসা চালু রাখা হয়েছে। আয়োজন করা হচ্ছে পরীক্ষারও। এমন প্রেক্ষাপটে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক স্ট্যাটাসে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রচলিত সরকার কাঠামো, শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইনের অধীনে না আসলে মামুনুল হকদের শায়েস্তা করা হবে। কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় সেটা আমাদের জানা আছে।
তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো:
“খেলাফতে মজলিশ নামক একটি দলের এক নেতা এই কুলাঙ্গার মামুনুল হকের পক্ষে যেভাবে সাফাই গাইলো, এতে বোঝা যায় দ্বীনে ইসলাম শুধুই এদের বেচে থাকার জন্য একটি মাধ্যম। ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মনে রাখা প্রয়োজন স্বাধীনতা যুদ্ধে এই দেশের জনগণ এদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এদের ছাড়াই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে, আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীল শক্তির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। কিছু এতিম শিশুকে রাখে বলে এরা অনেকের সহানুভূতি পায়।
এরা দেশের প্রচলিত সরকার কাঠামো, শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইনের অধীনে না আসলে, এদের কীভাবে শায়েস্তা করতে হবে তা আমাদের জানা আছে। পিতার ভাস্কর্য অপমানিত করার পর থেকে, এদের স্পর্ধার শুরু। এখন ১৭টি লাশের উপরে চলছে এদের রিফ্রেশমেন্ট জীবন।
আগুন যারা জ্বালিয়েছে, পিতার ছবিতে হাত যারা দিয়েছে, এদের একটা একটা করে ধরে আনা হবে, আইনের সম্মুখীন করা হবে। সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, সর্ব পর্যায়ে এই কাঠমোল্লা গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগ বানের জলে ভেসে আসে নাই। গণতান্ত্রিক সমাজে রাজনীতি করতে চায় করবে। কিন্তু ধর্ম ব্যবসা করে মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালানোর পরিণাম এদের বোঝাতে হবে। আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি-জামায়াত ছাড় পায় নাই। এই ধর্ম ব্যবসায়ীরাও ছাড় পাবে না। ইনশাল্লাহ।”]