বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উন্নত জাতের হাঁস পালন করে ব্যবসা সফল হয়েছেন শতাধিক খামারী। মঙ্গলবার সরেজমিনে মালিপাড়া, মাঝগাও, গুড়–মশৈল, মহানন্দাগাছা, মনপেরিত ও বাহিমালী গ্রামের বেশ কয়েকটি হাঁসের খামার পরিদর্শনকালে এমনটিই জানিয়েছেন ওই সকল খামারীরা।
উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডা: উজ্জ্বল কুমার কুন্ডু জানান, বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় অন্তত ১০৩ টি উন্নত জাতের হাঁসের খামার রয়েছে, যেখানে ক্যাম্বেল, বেইজিং, ঝিল্ডিং, রানার ও ঝিনুক সহ লক্ষাধিক হাঁস পালিত হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন দেশের মানুষের প্রানিজ আমিষের চাহিদা পুরন হচ্ছে অপর দিকে বেকার যুবক ও মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
মালিপাড়া গ্রামের খামারী মাহবুর রহমান জানান, আমি ৮ মাস আগে ক্যাম্বেল জাতের ১ দিন বয়সী ১০০ নর ও ৮৫০ টি নারী হঁাসের বাচ্চা কিনেছি। হঁাসগুলি পালনে প্রতিদিন গড়ে ১৩০ কেজি খাবার, লেবার, সেড ও বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ হচ্ছে প্রায় ৪৫০০ টাকা । হঁাসগুলি ৬ মাস পালনের পর থেকে ডিম দিতে শুরু করেছে। গত ২ মাস ধরে প্রতিদিন গড়ে ৬৫০-৬৭০ টি ডিম পাচ্ছি। এগুলি বীজ হিসাবে হ্যাচারী মালিকরা প্রতিটা ডিম ১৩/১৪ টাকায় ক্রয় করে খামার থেকে নিয়ে যায়। এখন প্রতিদিন আমার সব খরচ বাদেও প্রায় ৪ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। হঁসের কোন সমস্যা দেখা দিলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সহযোগীতা পাচ্ছি। মাঝগঁাওয়ের খামারী একরামুল হক বলেন, খামারীদের আরও সরকারী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক উদ্দোক্তা হয়ে স্বনির্ভর হতে পারতো। রাথুরিয়া গ্রামের খামারী জাকির হোসেন সরকার বলেন, ফিডের দাম নিয়ন্ত্রনে থাকলে ও উন্মুক্ত জলাশয়ে হঁাস পালন সম্ভব হলে খামারীদের ব্যাপক লাভ হবে। মালিপাড়ার আরিফুল ইসলাম বলেন, সরকার যদি সহজ শর্তে ও স্বল্পসুদে শিক্ষিত বেকারদের হাঁস।