প্রতিনিধি, বড়াইগ্রাম (নাটোর)
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ বছরে বরই ও পেয়ারা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শত শত কৃষক। অন্য ফসলের চেয়ে বরই ও পেয়ারা চাষ করে লাভের মুখ দেখে এ চাষে ঝঁুকে পড়ছেন তারা। উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা জানান, এ বছরে উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে বরই ও ৫০ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ করেছেন কৃষক। তাদের মধ্যে থেকে ২৬৭০ জন প্রান্তিক কৃষককে পুর্নবাসন ও ২৪২০ জন ক্ষুদ্র কৃষককে সার ও বীজ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আব্দুল মতিন জানান, কৃষকগণ যে কোন সমস্যার কথা বললেই আমরা তাৎক্ষণিক তাদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি। গুনাইহাটি গ্রামের বরই চাষী আব্দুল কাদের বলেন, এ বছরে আমি ১০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের বরই চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা, আমি আশা করছি কোন মড়ক না লাগলে বরইগুলি ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবো। মানিকপুর গ্রামের পেয়ারা চাষী মোহাম্মদ আলী বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পেয়ারার দাম ভাল পাচ্ছি। মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে বনপাড়া বাইপাসে অন্তত ১০ টি বরই ও পেয়ারা বিক্রির আড়ৎ রয়েছে, যেখানে শত শত চাষীরা পেয়ারা ও কুল বিক্রি করছে। জানা গেছে আড়ৎ গুলিতে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার মণ বরই ও পেয়ারা বিক্রি হয়। এর মধ্যে বাউকুল প্রতি ৪০ কেজি ৫০০-১২০০ টাকা, বার্মিজ ১০০০-১৫০০ টাকা, কাশ্মিরী ২০০০-৩০০০ টাকা, বলসুন্দরী ২০০০-৩০০০ টাকা, দেশী নারকেলীকুল ৩০০০-৪০০০ টাকা, আপেলকুল ১৫০০-৩০০০ টাকা ও দেশী পেয়ারা প্রতি ৪০ কেজি ২০০০-৩০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে বরই আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আশরাফুল আলম মিঠু বলেন, এখানকার আড়তে বরই ও পেয়ারা কিনতে ঢাকা, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, ফেণী, জামালপুর ও ভৈরব বাজার থেকে পাইকাররা আসেন। চট্টগ্রামের বরই পাইকার রঞ্জিত দাস ও কুমিল্লার সালেহ আহম্মেদ বলেন, আমরা এখানে গত দশ বছর যাবত কুল ও পেয়ারার ব্যবসা করছি। কোন দিন কারও সাথে কোণ তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়নি।