প্রতিনিধি, বড়াইগ্রাম(নাটোর)
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিনব কায়দায় গরু চুরি করছে একটা সংঘবদ্ধ চক্র। একমাস আগে গুড়মশৈল রবিউলের বাড়িতে ঐ চক্রের লোকেরা গভীর রাতে রবিউলের বাড়ি এসে টিউবওয়েল চেপে পানি তুলতে শুরু করে। এ সময় তারা ফিস্ ফিস্ করে কথাও বলে। বাড়ির মালিকের ধারনা বাড়িরই কেউ হয়তো টিউবওয়েল ব্যবহার করছে। সজাগ থাকার পরও চোরদের সন্ধেহ না হওয়ায় বাইরে বের হন নি তিনি। সকালে উঠে দেখেন তার গোয়ালে দুধের গাভীটা নেই, যার আনুমানিক মূল্য দেড় লক্ষ টাকা। ওদিকে, মালিপাড়া গ্রামের চা বিক্রেতা রসুলের বাড়ির সামনে গভীর রাতে পিকআপ হর্ন দেয়, তার ধারণা রাস্তায় কোন সমস্যার কারনে সম্ভবত হর্ণ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সকালেসে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার গোয়ালে তিন দিন আগে ৭০ হাজার টাকায় ক্রয়করা ষাঁড় গরুটা নেই।
গত সপ্তাহে মহিষভাঙ্গা গ্রাম থেকে একই কায়দায় ৩টি গরু চুরি হয়। বাড়ির মালিক ঐ রাতেই গোয়ালে খোঁজ নিয়ে দেখেন তার ৩টা গরু চুরি হয়ে গেছে। পরে সে মসজিদের মাইকে বিষয়টি ঘোষণা দিলে বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। উপায়ন্ত না দেখে চোরেরা গরু ৩টি আগ্রাণ এলাকায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
গতরাতে মহিষভাঙ্গা মাসুদের বাড়িতে গরু চুরি করতে এলে মাসুদ গোয়াল ঘরের কাছে যেতেই চোরেরা পালিয়ে যায়। এমাতাবস্থায় গরু চুরির বিষয়ে উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করছেন বড়াইগ্রামের অন্যান্য গরু পালন-কারীরাও।
এব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) আব্দুর রহিম বলেন, গরু চুরির বিষয়ে সাম্প্রতিক থানায় কেউ অভিযোগ করেন নাই। তবে বিষয়টা যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম, সেহেতু আমরা টহল বাড়িয়ে ঐ চক্রকে ধরার চেষ্টা করবো এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।