উপজেলা প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের উদ্যোগে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান।
নবাগত অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কেএম জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, যুগ্ন সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার কলি, জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কালাম জোয়াদ্দার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুর রহিম, বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক শামসুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন-নারীর প্রতি নির্যাতন ও ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি এবং নারী ধর্ষণ একটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও বটে। আর এই ধর্ষণ সন্ত্রাস আইন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে নির্মূল করা সম্ভব নায়। এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা, রয়েছে পরিবারের দায়িত্ব। আপনার সন্তান কি করছে কার সাথে মিশছে এদিকে আপনাদের সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। আমি মনে করি ধর্ষণ সন্ত্রাসের অন্যতম কারণ মাদকাসক্ত। মাদকাসক্তরাই এ ধরনের বর্বরোচিত কাজ করতে পারে, তাই প্রথমে আমাদেরকে এই ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং আপনার সন্তান যেন মাদকাসক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এ সময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে নারীবান্ধব দেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, বড়াইগ্রাম উপজেলাকে ৭৬টি বিট পুলিশিং গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে এবং এই ৭৬টি বিট পুলিশিং গ্রুপ সদস্যরা বড়াইগ্রাম উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভা ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে একযোগে এই মুহূর্তে কর্মসূচি পালন করছেন। তারা আপনার কাছে এসে চাহিদা মত সেবা দিবে। শুধুমাত্র কিছু বড় অপরাধ যেমন ধর্ষণ, খুন এগুলো বিষয়ে আপনাকে থানায় যেতে হবে। তাছাড়া ছোটখাট বিষয়গুলোতে পুলিশ ইউনিয়ন ভিত্তিক আপনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিবে। জনগণের জন্যই বিট পুলিশিং। সমাবেশে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন।