নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে দুই হত্যা মামলার আসামি মুসলিমা আক্তার প্রিয়া ওরফে প্রিয়া চৌধুরীকে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শাহেদ আল মামুন এর নেতৃত্বে এসআই সাজ্জাদুল ইসলাম, এএসআই ওবায়দুর সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলা র নাওদাড়া গ্রামের সাজদার হাজির বাড়ি থেকে প্রিয়া চৌধুরী র কথিত স্বামী রিঙ্কু সহ গ্রেপ্তার করা হয় । আটকের সময় তার কাছ থেকে ৭০ পিস ইয়াবা এবং ১ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় দুজনেই মাদকাসক্ত অবস্থায় ছিল।
প্রিয়া চৌধুরীর কথিত স্বামী রিংকুর বাবা সাজদার হাজী অভিযোগ করে বলেন- প্রায় এক মাস ধরে এই মহিলা (প্রিয়া চৌধুরী) আমার বাড়িতে আমার ছেলের বউ দাবি করে এবং আমার বাড়িতে থেকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি সহ জোরপূর্বক চেকে সই করে নেওয়া এবং দলিলে সই করে নেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে। আজ সকালে আমাদের স্বামী স্ত্রীকে গলায় ছুরি ধরে একই চেষ্টা চালায়, আমরা বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, ঐ অসহায় দম্পতি মাদকাসক্ত ছেলে এবং চরিত্রহীন হত্যা মামলার আসামি মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত প্রিয়া চৌধুরী র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং নিজেদের নিরাপত্তা চান প্রশাসনের কাছে।
উল্লেখ্য- মুসলিমা আক্তার প্রিয়া (প্রিয়া চৌধুরী) বড়াইগ্রামের যুবদল নেতা আলোচিত ২০১৪ সালের সেন্টু হত্যা মামলার প্রধান আসামি, এছাড়াও ২০১৫ সালের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ড্রাইভার হত্যা করে পাজারো গাড়ি ছিনতাইয়ের মামলার আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও ছিনতাই মামলা রয়েছে। প্রিয়া চৌধুরী ঢাকা বিশিষ্ট শিল্পপতি মৃত হাসান এর দ্বিতীয় স্ত্রী এবং বড়াইগ্রামের চন্ডিপুরের মৃত মফিজ হাজ্বির ছেলে সূদ ব্যবসায়ী মমিন উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান- এই মহিলা প্রথমে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে, তারপরে জোরপূর্বক টাকা পয়সা গহনা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এটাই তার ব্যবসা।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।