নাটোরের গুরুদাসপুরে এক গৃহবধূকে গর্ভকালীন টিকা দেওয়ার সময় শ্লীলতাহানি করার অপরাধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কাজী আবু বক্কার সিদ্দিককে (৪৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূর স্বামীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে রোববার রাত আটটার দিকে বিশেষ কৌশলে নাটোর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গৃহবধূর শ্লীলতাহানির ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতালের একটি কক্ষে ওই টেকনোলজিস্টকে তালা দিয়ে রাখা হয়। পরে তাকে একজন জনপ্রতিনিধির জিম্মায় দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে টেকনোলজিস্ট আবু বক্কার সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। কাজী আবু বক্কার সিদ্দিক নাটোর জেলা সদরের বাসিন্দা আব্দুল করিমের পুত্র।
শ্লীলতাহানির শিকার গৃহবধূ (২৫) অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামীর সঙ্গে গুরুদাসপুর হাসপাতালে গর্ভকালীন টিকা নিতে আসেন তিনি। পরে তার স্বামীকে ওই টেকনোলজিস্ট রুম থেকে কৌশলে বের করে দেন। টিকা দেওয়ার নামে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন টেকনোলজিষ্ট বক্কার। এসময় তাকে কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তিনি চিকিৎসা না নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তার স্বামী থানায় লিখিত অভিযোগ ও মামলা দায়ের করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, আবু বক্কার সিদ্দিক প্রায় তিন বছর আগে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট পদে যোগদান করেন। বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে নারী কেলঙ্কারিসহ নানা অভিযোগ উঠে। এক নারী মেডিকেল অফিসারকেও যৌন হয়রানী করেছেন তিনি। সেই বিষয়টি নিয়েও চলছে তদন্ত। তদন্ত শেষ হলেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন- শ্লীলতাহানির বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট আবু বক্কারকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধিঃ