বিশেষ প্রতিনিধি: সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সাধারণ ছুটি ঘোষণা, এবং গণপরিবহন বন্ধের পরে মারাত্মক খাদ্য সঙ্কটে পড়ে যায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নিম্নআয়ের মানুষ গুলো।
যারা দিন আনে দিন খায় তাদের কে সহযোগিতা করবে? কে দিবে তাদের মুখে এক মুঠো ভাত? সবকিছু ধিরে ধিরে বন্ধ হয়ে যখন সাধারণ মানুষ গুলো অসহায় হয়ে পড়চ্ছে, ঠিক তখনই এই ঘোর অন্ধকারে “মানবতার আলো হাতে” ফেরিওয়ালার বেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন আওয়ামী রাজনীতির অবহেলিত, পদে পদে স্থানীয় লোভী নেতাদের দ্বারা অপমানিত সাধারণ মানুষের ভরসার প্রতীক উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।
তিনি নিজ উদ্যোগে গত ২৪ শে মার্চ এর পর থেকে বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন বাজার, বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ ও পথসভার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য সামাজিক কর্মকাণ্ড করতে থাকেন।
এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই করোনা ভাইরাস এর তীব্রতা শুরু হয়, সাধারণ মানুষ পড়ে যায় আরো বেশি বিপাকে।
এমতাবস্থায় বড়ইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী যখন যে অবস্থায় থেকেছেন সেই অবস্থাতেই ছুটে চলেছেন অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা মানুষগুলোর পাশে।
কোথাও তাকে দেখা গেছে সাবান, মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ করছেন, আবার কোথাও দেখা গেছে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন।
শুধু তাই নয় সম্প্রতি একটি এলাকায় তাকে দেখা গেছে, ত্রাণের বস্তা কাঁধে নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন অসহায়দের বাড়িতে বাড়িতে । আর সাধারণ মানুষ তার এই মানবতা আর মহানুভবতা দেখে তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা বলে ডাকছেন।
এ বিষয়ে ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান- আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট ভিক্ষা করেছি, আমাকে এই সাধারণ মানুষ গুলো ফিরিয়ে দেন নাই। তাই আজকে তাদের এই দুর্দিনে আমি তাদের দ্বারে দ্বারে খাদ্যসহায়তা পৌছে দিচ্ছি সাধ্যমত এবং দেশের এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমি এই অসহায় মানুষদের পাশে থাকবো।
হাট-বাজার, গ্রামগ,পাড়া-মহল্লায় এই অবাধ ছুটে চলায় তার নিজের জীবনের ঝুঁকি আছে তার পরেও তিনি নিজেই বিভিন্ন এলাকায় মানুষের কাছে গিয়ে তাদের বিভিন্ন সুখ-দুঃখের কথা শুনছেন। সাধ্যমত চেষ্টা করছেন তাদের সমস্যার সমাধান করার।
নিজের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা ভাবছেন কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন- ডাক্তার হিসেবে দেশ ও দশের সেবায় নিজেকে যেদিন নিয়োজিত করেছিলাম সেদিনই শপথ করেছি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের সেবা করে যাবো। কারন আমি একজন ডাক্তার, সেইসাথে জনগণ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আমাকে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন। এখনই সময় জনগণের ঋণ শোধ দেবার। তিনি আরও বলেন- দেশে যেখানে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎকরা সাধারন রুগী দেখতে তালবাহানা করছে, যেখানে বেসরকারি হাসপাতাল গুলোয় তালা ঝুলছে, আমি সেখানে আমার হাসপাতালে করোনা ইউনিট খুলেছি। জনগনকে বলবো, আপনারা নির্দিধায় পাটোয়ারী জেলারেল হাসপাতালে আসেন। আমার মেডিকেল টিম আপনাদের সেবা দেয়ার জন্য সদা প্রস্তত।
মানবতার ফেরিওয়ালা বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী স্থানীয় প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন- দেশের এই পরিস্থিতিতে সবদিকে হয়তো শতভাগ খেয়াল রাখা সম্ভব হচ্ছে না, তাই আপনাদের চোখে যদি কোন অসঙ্গতি ধরা পড়ে বা আপনাদের জানামতে কোন পরিবার যদি অসহায় অবস্থায় থাকে অবশ্যই আমাকে জানাবেন। আমি নিজে সেই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে চাই।