সৈয়দ মাসুম রেজা, নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোর শহর ফাঁকা হলেও হাটগুলোতে এখনও কেউ মানছেনা সরকারি নির্দেশনা।
প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে লোক ভিড় করছে হাটগুলোতে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ
সম্পর্কে তারা একেবারেই উদাসীন। জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর তৎপরতা সত্ত্বেও থামছে না ভিড়।
নাটোর জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৫২ টি হাট রয়েছে। এর মধ্যে কোন হাট
সপ্তাহে একদিন বসে এবং কোন হাট সপ্তাহে দুই দিন বসে। করোনার সংক্রমণ
ছড়িয়ে পড়ার পরে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ছোট হাটগুলোতে তেমন একটি
ভিড় লক্ষ্য করা না গেলেও বড় হাট গুলো রয়েছে আগের মতই।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া অন্যান্য দোকান না বসানোর নির্দেশনা
থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।
এদিকে শনিবার বিকেলে নাটোরের শহরতলী দিঘাপতিয়ায় উত্তরা গণভবন সংলগ্ন
এলাকার নিয়মিত হাট বন্ধ করে দেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসন কর্তৃক
পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও এই হাতগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা
যাচ্ছে না। অনেকে প্রশাসনের গাড়ি দেখে তড়িঘড়ি সরে পড়ছেন আবার
সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখামাত্র তারা দ্রুত দোকানপাট বন্ধ করে দিচ্ছেন।
অনেকেই নানা অজুহাত দেখিয়ে ও বাইরে অবস্থান করছেন। লোকাল ভ্যান-রিক্সায়
করে যাচ্ছেন আত্মীয়বাড়ি বেড়াতে।
গত শনিবার সকালে নলডাঙ্গা হাটে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে এসকল অনিয়ম চোখে
পড়েছে। সে সময় নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
সাকিব আল রাব্বিকে পুলিশ বাহিনীসহ হাট পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। এসময়
তিনি নারদ বার্তাকে জানান, হোম কোয়ারেন্টাইন অমান্য করায় দুইজনকে
জরিমানা করা হয়েছে। কেউ যেন হাটে অযথা ভীড় না করেন সেজন্য নিয়মিত
প্রচার চালাচ্ছেন তারা। আগামীকাল মঙ্গলবারও এ হাট বসবে এবং হাটে যেন ভীড়
আরো কম হয় সেজন্যে চেষ্টা চালাবেন।
সমাজের সচেতন মহল বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন এভাবে
হাট বসতে দিলে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত তো হবেই না বরং হিতে বিপরীত হতে
পারে বলে মনে করেন সচেতন মহল।