নাটোরের বড়াইগ্রামে একই পরিবারের ৩জনের বয়স্ক ও বিধবা ভাতা পাওয়ার দাবিতে অনশন ও তথ্য যাচাই না করে সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে চান্দাই ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ।
শনিবার (১জানুয়ারি) দুপুরে চান্দাই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান সরকার ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা লিখিত বক্তব্যে জানায়, উপজেলার চান্দা্ই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর গ্রামের শিতাব আলী মন্ডলের মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা ও মানসিক ভারসাম্যহীন মরিয়ম বেগম তার পিতা বয়স্ক ভাতা সুবিধা পাওয়া সত্ত্বেও নিজ পরিবারের আরও ৩জনের নামে বিধবা ও বয়স্ক ভাতা পাওয়ার দাবিতে উপজেলা পরিষদের সামনে অনশন করেন।
আর এই অনশনের সংবাদ প্রকাশিত হয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর নিজস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টাল সহ কিছু অনলাইন মিডিয়ায়। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সরকার বলেন, একই পরিবারের সকল সদস্য ভাতা কার্ডের জন্য প্রযোজ্য বা উপযোগী হবে এমন সরকারী নির্দেশনা নাই। বরং অন্যান্য পরিবার যেনো ন্যায্যতার ভিত্তিতে ভাতা কার্ড পায় তা নিশ্চিত করতে সরকারী নির্দেশনা রয়েছে। তাছাড়া মরিয়মের নেতৃত্বে ওই মহিলারা প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদে তাদের আবেদন করার কথা।
কিন্তু তা না করে তারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে গেলে চেয়ারম্যান রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি হাসিল করার কৌশল হিসেবে ও ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সরকারকে জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রয়াসে এই ঘটনাকে পুঁজি করে এই বিষয়ে দাবি তুলে মরিয়মকে অনশন করার পরামর্শ দেন। একই সাথে অনশনের জন্য ব্যানার খরচ, তিন মহিলার জন্য যাতায়াত খরচ ও কতিপয় পক্ষীয় সাংবাদিকদের জন্য উপহার খরচ প্রদান সাপেক্ষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এই ধরণের বাজে ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে এই নোংরা রাজনীতি পরিহার করে সুষ্ঠু ধারায় রাজনৈতিক চর্চা করার আহবান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মোতালেব হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য গাজী মিয়া, ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ বাবুল আলম বাবু, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য কামরুজ্জামান স্বপন, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য সেলিম রেজা বাবু, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মাজেদা বেগম প্রমূখ।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন-‘আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ভুক্তভোগীদের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নাই। তাদের আমি পূর্বে চিনতামও না। এগুলো নোংরা রাজনীতির বাজে দৃষ্টান্ত ছাড়া কিছু না। আশা করি সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।’