দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীত জেঁকে বসেছে। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়া উত্তরের জনপদে বাড়িয়ে দিয়েছে শীত। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ। এরমধ্যেই আগামী সপ্তাহে শীত মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই শৈত্যপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। প্রথমদিকে দেশের উত্তরাঞ্চলে এ শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হতে পারে। তখন উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে শৈত্যপ্রবাহ উত্তরাঞ্চলে শুরু হলেও এর প্রভাবে দেশজুড়ে তাপমাত্রা নেমে আসবে। পরবর্তীতে দেশজুড়ে এ শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হবে।
এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্নের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। গাইবান্ধায় ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৯ জন রোগী। এরমধ্যে শিশুই ১৫। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে সবচে দুর্ভোগে পড়েছে ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষ। পথের ধারে খড়-কুটায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণে আপ্রাণ চেষ্টা তাদের। আর চাদর অথবা গরম কাপড় মুড়িয়ে কাজে বের হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের খেটে খাওয়া মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে যে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া চলছে, তা আরো দুই দিন স্থায়ী হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আগে দেশের কোনো কোনো এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। আজ শনিবার রাজধানী ঢাকাসহ উত্তরের জেলাগুলিতে দিনের বেলায় সন্ধ্যার আবহ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারপাশ। কুয়াশা কবলিত জেলায় সড়ক-মহা সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানচলাচল করছে।