আসলাম হোসেন(১০), পেশায় এখন ভ্যান চালক। বাবার মৃত্যুর পর রেখে যাওয়া শেষ সম্বল ভ্যান চালিয়ে জীবন-জিবীকা নির্বাহ করছে আসলাম। নিজের ও মায়ের জন্য ঈদের কেনাকাটা করার লক্ষ্য নিয়ে ছুটছেন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যানে যাত্রি নিয়ে। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে তার বসবাস। ওই এলাকার মৃত-হাসেম হোসেনের ছেলে আসলাম।
মঙ্গলবার দুপুরে আলিপুর এলাকায় দেখা মেলে যায় আসলামের সাথে। কথা বলার একপর্যায় আসলাম বললো তার বর্তমান জীবনের গল্প। মাস খানেক আগে তার বাবা অসুস্থ্য জনিত কারনে মৃত্যু বরণ করেন। সংসারে ছিলো বড় বোন ও মা। বাবার মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায়। এখন মাকে নিয়েই তার সংসার।
প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে আয় করে-১০০-১৫০ টাকা। সে টাকা দিয়ে সংসার চলে যায়। তবে আর দুদিন পর ঈদ। ঈদে নিজের জন্য ও মায়ের জন্য কেনাকাটা করার জন্য চালিয়ে যাচ্ছে কঠোর পরিশ্রম। বাজার থেকে যাত্রি নিয়ে বিশ্রাম না নিয়েই আবার ছুটছেন ভাড়ার আশায়। কারন তার মায়ের জন্য শাড়ি কিনতে হবে। আসলাম আরো জানায়, বাবা বেঁচে থাকতে সে স্কুলে যেতো। পড়াশোনা করতো। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর এখন সংসারের সম্পুর্ন বোঝা তার উপর। তাই সংসার চালানোর তাগিতে ভ্যান চালিয়ে জীবন-জিবীকার নির্বাহ করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন জানালেন, সংবাদকর্মীর মাধ্যমে আসলামের বিষয়টি জানতে পারলাম। দ্রæত আসলামের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।