সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন এমপির সম্পদের অনুসন্ধান চলছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। এদের মধ্যে বেশিরভাগই সরকারদলীয়। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসির একটি বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গত বছর সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে নাম আসে ৫ জন সংসদ সদস্যের। দুদকের গোয়েন্দা দলের কাছেও এদের বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য আসে। এরই মধ্যে তাদের নিজ নামে এবং স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিপুল সম্পদের তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। এরপরই জাতীয় সংসদের হুইপ চট্টগ্রামের শামসুল হক চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ভোলা- ৩ এর নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথসেহ বেশ কয়েকজনের সম্পদ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুলের অবৈধ সম্পদ খোঁজা শুরু করে দুদক। একই অভিযোগে পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
সম্প্রতি সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী ১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক।
শুধু এসব সংসদ সদস্যরাই নন, তাদের স্ত্রী সন্তানদের নামেও বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ’র কাছ থেকে বিপুল সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।
দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, তাদের ইনকাম ট্যাক্স ফাইল সংগ্রহ করা হয়েছে। সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুলের মানি লন্ডারিং মামলার অনুসন্ধান কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। এছাড়া প্রতিটি কেসেরই অগ্রগতি রয়েছে।
সুত্র: বিডি-প্রতিদিন