নাটোরের বড়াইগ্রামে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যর পর এবার সেই স্বামীও মৃত্যু হয়েছে।
গত কাল শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ওই দম্পতির নাম বিথী বেগম (২৬) ও ফারুক হোসেন (৩৪)। তাঁরা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্ত্রীর মৃত্যুর পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলচ্ছিল।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার(২৬ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বনপাড়া পৌর এলাকার হালদার পাড়ায় স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটে। বিষপানের পরপরই স্ত্রী বিথী বেগমের মৃত্যু হলেও স্বামী ফারুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেও শুক্রবার রাত রাত ১১টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, ফারুকের দুটি সংসার। সে তার ছোট স্ত্রী’কে নিয়ে আলাদা বাসায় ভাড়া থাকতো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঋণের দায়ে তারা অনেকটাই বিধ্বস্ত ছিলো। উপায়ন্তর না দেখে তারা এক সাথে বিষ সেবন করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে নিজ গলা কেটে আত্মহত্যা করে উপজেলার বনপাড়া পৌরশহরের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী শরীফুল ইসলাম সোহেল (৩৪)। সম্প্রতি বনপাড়া পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র সমবায় সমিতি গড়ে তুলে সুদের রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে অসাধু ব্যক্তি ও কতিপয় প্রতিষ্ঠান। এর পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে তথা সুদী কারবারীদের দৌরাত্মও চোখে পড়ার মতো। অতি দ্রুত এ সব সুদের প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ ও সুদী কারবারীদের দৌরাত্ম প্রতিহত না করলে অকালে নিঃস্ব হবে সহস্র পরিবার। পাশাপাশি এ রকম আত্মহত্যার মতোও ঘটনা ঘটবে বলে আশঙ্কা করছে অভিজ্ঞ মহল।