নাটোরের বড়াইগ্রামে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এতে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। স্বামীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার(২৬ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বনপাড়া পৌর এলাকার হালদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর নাম বিথীর বেগম (২৬) ও হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর স্বামী ফারুক হোসেন (৩৪)। তাঁরা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন জানান, ফারুক হোসেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে হালদার পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে তাঁরা একসঙ্গে বিষ পান করে কালিকাপুর যাওয়ার পথে মাটিতে পড়ে যান। স্থানীয়রা উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে স্ত্রীর মৃত্যু হয়। আর স্বামী ফারুক হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, ‘ফারুখ হোসেনের দুটি সংসার। তিনি ছোট স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, ফারুকের দুটি সংসার। সে তার ছোট স্ত্রী’কে নিয়ে আলাদা বাসায় ভাড়া থাকতো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঋণের দায়ে তারা অনেকটাই বিধ্বস্ত ছিলো। উপায়ন্তর না দেখে তারা এক সাথে বিষ সেবন করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে নিজ গলা কেটে আত্মহত্যা করে উপজেলার বনপাড়া পৌরশহরের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী শরীফুল ইসলাম সোহেল (৩৪)। সম্প্রতি বনপাড়া পৌর শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র সমবায় সমিতি গড়ে তুলে সুদের রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে অসাধু ব্যক্তি ও কতিপয় প্রতিষ্ঠান। এর পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে তথা সুদী কারবারীদের দৌরাত্মও চোখে পড়ার মতো। অতি দ্রুত এ সব সুদের প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ ও সুদী কারবারীদের দৌরাত্ম প্রতিহত না করলে অকালে নিঃস্ব হবে সহস্র পরিবার। পাশাপাশি এ রকম আত্মহত্যার মতোও ঘটনা ঘটবে বলে আশঙ্কা করছে অভিজ্ঞ মহল।